আজকের শিরোনাম :

বাস-লঞ্চের ভাড়া না বাড়ানোর আহ্বান যাত্রী কল্যাণ সমিতির

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২০, ২২:১৪

করোনাভাইরাস মহামারির এ দুর্যোগের সময়ে গণপরিবহন বিশেষ করে বাস-লঞ্চের ভাড়া না বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

সেই সাথে সংগঠনটি জ্বালানি তেলের দাম কমানো ও পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানিয়েছে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ লকডাউনে কর্ম হারিয়ে নিদারুণ আর্থিক সংকটে থাকা জনগণের ওপর বর্ধিত ভাড়া চাপিয়ে দেয়া হলে তা মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ে পরিণত হবে।

যেকোনো সংকটে বা অজুহাতে দেশে গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ালে তা স্বাভাবিক সময়েও কমানোর কোনো নজির নেই জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে দীর্ঘ ছুটিতে থাকা সাধারণ মানুষজন এখন এক ভয়াবহ আর্থিক সংকটে পতিত। তাই অর্ধেক যাত্রী নিয়েও যাতে গণপরিবহনগুলো বিদ্যমান হারে ভাড়া আদায় করে সেবা চালু রাখতে পারে তার জন্য গণপরিবহন চালুর আগেই জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে দেয়ার দাবি জানান তিনি।

বিবৃতিতে দাবি করা হয়, বিশ্ববাজারে বহু আগেই তেলের দাম কমেছে। দেশে দীর্ঘদিন যাবত কম মূল্যে জ্বালানি তেল কিনে চড়া দামে বিক্রি করে বেশ মুনাফা অর্জন করেছে বিপিসি। বর্তমানে দেশের রিজার্ভারগুলোতে উপচে পড়া জ্বালানি তেল মজুদের খবর ইতোমধ্যে গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে।

গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে গণপরিবহনে চাঁদাবাজির বিষয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানায়, রাজধানীতে চলাচলকারী প্রতিটি বাস-মিনিবাসকে দৈনিক গড়ে ১২০০ থেকে ১৮০০ টাকা বা কোথাও ২০০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয়। প্রতিটি লেগুনা দৈনিক গড়ে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা চাঁদা দিয়ে চালাতে হয়।

প্রতিটি গণপরিবহন দৈনিক গড়ে যে পরিমাণ চাঁদা দেয় তা রোধ করার পাশাপশি সরকার সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নিয়েও যাতায়াত সম্ভব হবে বলে মোজাম্মেল হক মন্তব্য করেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, লঞ্চ পরিচালনার ক্ষেত্রে একমাত্র উপকরণ জ্বালানি তেলের মূল্য কমানো হলে গড় বোঝাইয়ের অর্ধেক যাত্রী নিয়েও লাভজনকভাবে যাতায়াত সম্ভব।

মোজাম্মেল হক বলেন, সিটি সার্ভিসের বাস-মিনিবাসের ভাড়া নির্ধারণের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ খালি সিট ধরে তা নির্ধারণ করা হয়েছে। তারপরও প্রতিটি বাস-মিনিবাসে ১০ থেকে ১৫টি অতিরিক্ত আসন সংযোজন করা আছে। এসব বিষয়গুলো এ সংকটের মুহূর্তে বিবেচনায় নিলে সড়ক ও নৌপথের কোনো পরিবহনে ভাড়া না বাড়িয়েও স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী লাভজনকভাবে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যাতায়াত সম্ভব বলে দাবি করেন তিনি।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ