আজকের শিরোনাম :

করোনা সংকটে গণভবন থেকে দাপ্তরিক কাজ সামলাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ মে ২০২০, ১৮:২৭

আগে নিজেই ছুটে যেতেন সব জায়গায়। এখন করোনাভাইরাসের সংকটকালে নিজেকে গণভবনে আটকে রাখলেও থেমে নেই তার কোনও কাজ। সরকারি বাসভবন গণভবনে থেকেই দাপ্তরিক সব কাজ সামলাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে নিচ্ছেন মাঠপর্যায়ের খোঁজ-খবর, দিচ্ছেন নানা নির্দেশনা। এমনকি স্বাস্থ্যবিধি মেনে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক থেকে শুরু করে অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়েও সভা করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। কেননা পিতার মত তাঁর ভাবনার মূলেও যে দেশের জনগণ।  

বছরটা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর। আয়োজনও ছিল বছর জুড়ে। হঠাৎই বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের থাবায় পাল্টে যায় সব। জনসমাগম এড়াতে ডিজিটাল মাধ্যমে করা হয় মুজিববর্ষের উদ্বোধনী আয়োজন।   

জীবন বাঁচাতে ২৬শে মার্চ থেকে শুরু সাধারণ ছুটি। বন্ধ করা হয় গণপরিবহন। তবে, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায়, বাড়তে থাকে ছুটির মেয়াদ। যা চলছে এখনো। 

শুরু থেকেই করোনা সংক্রমন রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেন সরকার প্রধান। ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধে শুরু থেকেই প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেন প্রধানমন্ত্রী। করোনা রোগীর চিকিৎসায় ডাক্তার নার্স ও টেকনিশিয়ানদের কাজ করতে প্রতিনিয়ত উদ্ধুদ্ধ করছেন সরকারপ্রধান। 

সচেতন করার পাশাপাশি সরকারি বাসভবন গণভবণ থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এ যুক্ত হয়ে সারাদেশের মাঠপর্যায়ের খোঁজ রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। দুইমাসে এমন ৬ টি কনফারেন্সিং এ যোগ দিয়ে দলমত না দেখে অসহায়দের কাছে ত্রাণসহ সরকারি সহযোগিতা পৌছে দিতে প্রশাসন ও দলীয় কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। 

এখন পর্যন্ত সোয়া এক কোটি পরিবারের সাড়ে পাঁচ কোটিরও বেশি মানুষের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন সরকারপ্রধান। 

একই সাথে ঈদ উপলক্ষে দেশের আট বিভাগে ছয় হাজার ৯৭০ কওমি মাদ্রাসাকে  প্রায় ৯ কোটি টাকার অনুদান দিয়েছে সরকার। রেশন কার্ডের সংখ্যা আরো ৫০ লাখ বাড়িয়ে এক কোটি করা হয়েছে। 

এছাড়া সংকটকালে, ভাতা পান না এমন ৫০ লাখ পরিবারকে মোবাইল সেবার মাধ্যমে আড়াই হাজার টাকা করে ঈদ উপহার দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।  এরইমধ্যে ১০ লাখ পরিবারের কাছে পৌছে গেছে এ উপহার।  

কেবল ত্রাণ বা আর্থিক সহযোগিতা নয়, কৃষকের বোরো ধান কাটতে হাওড়ে শ্রমিক পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দেন সরকার প্রধান।  কৃষকের জন্য ঘোষণা দেন কৃষিপ্রণোদনার।  

অর্থনীতি বাঁচাতে বিভিন্ন খাতে দেয়া হয়েছে প্রায় ১ লাখ ১ হাজার ১১৭ কোটি টাকার ১৮ টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষনা করেন প্রধানমন্ত্রী।  ভাবনায় আছে করোনা সংকট পরবর্তী দেশের অর্থনীতিও।  তাইতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণভবন থেকেই অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে নিয়মিত সভা করে যাচ্ছেন সরকার প্রধান। 

কেবল দেশে নয়, ভার্চুয়াল সম্মেলনে অংশ নিয়ে সবচেয়ে কঠিন এই সময়ের মোকাবিলা করতে বিশ্বকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বানও জানাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

সংকটটা বৈশ্বিক।  সঙ্গে আছে রাষ্ট্র পরিচালনার গুরু দায়িত্বও। এর মধ্যেও পিতার মতো, দেশবাসীর সুখে-দুখে নিজেকে একাকার করে দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা, আধুনিক দেশগড়ার রূপকার শেখ হাসিনা।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ