আজকের শিরোনাম :

ঢাকায় কাউকে ঢুকতে ও বের হতে দেবে না পুলিশ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২০, ১৬:০৫ | আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২০, ১৮:৩৮

রাজধানী ঢাকার বাইরে থেকে ঢাকার ভেতরে মানুষ প্রবেশ এবং ঢাকা থেকে বাইরে যাওয়া বন্ধ করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ।

পুলিশের মুখপাত্র সোহেল রানা বলছেন, সরকারের নির্দেশে সামাজিক দূরত্ব মানার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

এমন সময় পুলিশ এ উদ্যোগের কথা জানাচ্ছে, যখন বাংলাদেশের লকডাউন উপেক্ষা করে শনিবার হাজার হাজার গার্মেন্টস শ্রমিক নানা পদ্ধতি অবলম্বন করে ঢাকায় প্রবেশ করে।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার এক পর্যায়ে গার্মেন্টস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত বদলে আবার ছুটি বাড়িয়ে দেবার ঘোষণা দেয় মালিকদের সংগঠন। কিন্তু ততক্ষণে বহু শ্রমিক পায়ে হেঁটে, পন্যবাহী যানবাহনে চড়ে ঢাকায় ঢুকে পড়েছে।

রবিবার সকালে ঢাকার বিভিন্ন রাস্তাতেই দেখা যায় বিভিন্ন কারখানা অভিমুখে শ্রমিকদের ঢল।

সোহেল রানা এখন বলেন, এরই মধ্যে যারা ঢাকার বাইরে থেকে ঢাকার দিকে যাত্রা শুরু করেছেন, তাদের আমরা আটকে দিয়েছি এবং নিজ নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়েছি। এ ছাড়া নতুন করে জড়ো হয়ে কাউকে ঢাকার দিকে রওনা হতে দিচ্ছি না আমরা।

সোহেল রানা জানান, শনিবার (৪ এপ্রিল) ঢাকার আশপাশে অবস্থিত তৈরি পোশাক ও অন্যান্য কারখানার শ্রমিকদের কর্মস্থলের দিকে আসতে থাকার সময় জনসমাগমের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ এই ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের হাইওয়ে পুলিশ, রেঞ্জ পুলিশ ও জেলা পর্যায়ের পুলিশ সদর দপ্তরের কন্ট্রোল রুমের সাথে সমন্বয় করে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছে।

তবে মানুষের চলাফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও জরুরি সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট সব ধরণের পণ্য পরিবহন অব্যাহত থাকবে।

তৈরি পোশাকসহ কয়েকটি কলকারখানা আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৫ এপ্রিল খোলার কথা থাকায় শনিবার ৪ এপ্রিল দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে কর্মস্থলের দিকে ফিরতে শুরু করে অনেকে।

আবার কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হলে তারা নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে চাইলে তাদেরও নিরুৎসাহিত করা হবে বলে জানান এআইজি সোহেল রানা।

তিনি বলেন, ‘কোনোভাবেই যেন কোথাও লোক জড়ো না হয়, সেটি নিশ্চিত করার ব্যাপারে আমরা মনোযোগী হচ্ছি।’

সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা না মানলে প্রয়োজনে পুলিশ আইনি ব্যবস্থাও নেবে বলে জানান সোহেল রানা।

খবর বিবিসি বাংলা

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ