আজকের শিরোনাম :

পিলখানা ট্র্যাজেডি : নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:৪৭ | আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৩:০০

বাংলাদেশের ইতিহাসে জঘন্যতম অধ্যায় পিলখানা হত্যাকাণ্ড। ২০০৯ সালের এ দিনে ঢাকার পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দফতরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই বছরের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারির পিলখানা ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারান ৫৮ সেনা সদস্য। হত্যাকাণ্ডের ১১তম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে আজ।

এ উপলক্ষে রাজধানীর বনানীতে সামরিক কবরস্থানে সকাল ৯টায় শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শদীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম শামীম উজ জামান, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ফুল দেন মেজর জেনারেল নকীব আহমদ।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য সদস্যরা স্যালুট প্রদান করেন। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা স্যালুট প্রদান করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মােহাম্মদ শাহীন ইকবাল, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মােস্তাফা কামাল উদ্দীন এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শেষে শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য সদস্যরা স্যালুট প্রদান করেন।

পরে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়। 

এর পর বিজিবি মহাপরিচালক সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ঘটনা (পিলখানা ট্র্যাজেডি) থেকে শিক্ষা নিয়ে বিজিবি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে, সে জন্য আমরা তৎপর রয়েছি। বিজিবি বর্তমানে সমৃদ্ধ একটি বাহিনী। জেলা পর্যন্ত এর গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।’

দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন পিলখানা হত্যাকা-ের ঘটনায় ৫৭টি মামলার বিচার হয় বাহিনীর নিজস্ব আদালতে। সেখানে ৬হাজার জওয়ানের কারাদণ্ড হয়। কিন্তু পরে পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের মামলার বিচার শুরু হয় ঢাকার বিচারিক আদালতে। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর এ হত্যা মামলায় ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। এ ছাড়া সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয় ২৫৬ জনকে। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পান ২৭৮ জন। পরবর্তী সময় বিচারিক আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে করা আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হয় ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি। ৩৭০ কার্যদিবস শুনানির পর ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্ট তার রায়ে পিলখানায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার দায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ১৮৫ জনকে। আর ২০০ জনকে দেয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা। এ ছাড়া হাইকোর্ট তার রায়ে এ হত্যা মামলা থেকে ৪৫ জনকে খালাস দেন।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ