আজকের শিরোনাম :

রাষ্ট্রদূতরা ইভিএম দেখে গেছেন, বিএনপি আসছে না : ইসি সচিব

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২০, ১৫:২৪

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে কোনো ধরনের কারচুপির সুযোগ নেই দাবি করে নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, ইভিএম মেশিন আমেরিকা, ব্রিটেনসহ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত দেখে গেছেন। তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। কিন্তু তারা (বিএনপি) তো আসে না। আমরা তো ওপেন রেখেছি। আপনারা এসে দেখেন। যদি তারা না আসে, আমরা তাদের কীভাবে আনতে পারি?
আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ইসি সচিব বলেন, ‘ইভিএমে জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই। যদি কারেও আঙুল না থাকে, তা হলে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী ওই ব্যক্তি  ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন। এ ধরনের ঘটনায় মাত্র এক শতাংশ ভোটারকে শনাক্ত করতে পারবেন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা। এক শতাংশের বেশি প্রয়োজন হলে রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিতে হবে। আরও বেশি লাগলে কমিশনের অনুমতি লাগবে। পরবর্তী সময় চাইলে এই ইভিএমের তথ্য জানা যাবে। ভোটের তথ্য আমাদের কাছে ডিজিটালি সংরক্ষণ করা থাকে। মামলা করারও সুযোগ রয়েছে। কেউ ইচ্ছা করলে এ নিয়ে আদালতেও যেতে পারেন। কেউ মামলা করলে আমরা তথ্য দেখাতে পারব।’

ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এখন সেসব সামাল দিতে না পেরে আচরণ বিধি সংশোধনের কথা বলছেন কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেন, ‘এটি ২০০৯ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় করা হয়েছিল। সাধারণত এসব ক্ষেত্রে কী করা হয়? তারা সাধারণ জনগণ ও রাজনীতিকদের সঙ্গে খুব একটা কথা বলে আচরণ বিধিমালা করে না। তখন সংলাপ হলেও সেটা অনেকটা রেসট্রিকটেড (নিয়ন্ত্রণ) হয়। অনেকের ভেতরে ভয়ভীতি থাকে। তারা আচরণ বিধিমালাসহ অনেক কিছু চাপিয়ে দেয়। ২০০৯ এবং এখনকার পরিস্থিতি তো এক নয়। এখন ডেমোক্রেটিক গর্ভমেন্ট, ডেমোক্রেটিক সিচ্যুয়েশন, স্বাধীনভাবে মানুষ কথা বলতে পারে। এখন টক শো করছে এত টেলিভিশন এত পত্রিকা, তখন কি এগুলো পারতেন করতে? এত কিছু বলতে পারতেন?’

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে সাংবাদিকেদের ওপরও অনেক বাধা-নিষেধ ছিল। আপনারা কী সেই আচরণ বিধিমালা চান যে, এখনো সেই আচরণ বিধিমালা থাকুক? আর সময়ের সঙ্গে মানুষের সচেতনা বেড়েছে। গণতান্ত্রিক পরিবেশ পরিবর্তন হয়েছে। সেই সঙ্গে আচরণ বিধিমালা আধুনিকায়ন করতে হবে। তার মানে এই নয় কাউকে অন্যায় কোনো সুবিধা দেওয়া হবে।

সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, বিএনপির এই অভিযোগ সম্পর্কে ইসি সচিব বলেন, পর্যবেক্ষকদের কোনো কার্ড দেওয়ার ব্যাপারে কমিশন থেকে এখনও কোনও নির্দেশনা পাইনি। তবে যে নীতিমালা আছে, সেই অনুযায়ী দিচ্ছি। যারা ইসিতে নিবন্ধিত তাদেরই কার্ড দেওয়া হবে।

কেন্দ্রগুলোকে সিসি টিভির আওতায় আনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্র হিসেবে নির্ধারিত যেসব প্রতিষ্ঠানে আগে থেকেই সিসি ক্যামেরা আছে, সেগুলোকে সচল রাখার জন্য বলা হয়েছে। যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সেসব ক্যামেরার মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করা যায়। তবে কেন্দ্রগুলোর বুথে কোনোভাবেই যেন কোনো সিসি ক্যামেরা না থাকে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ