আজকের শিরোনাম :

আজ ঐতিহাসিক সলঙ্গা বিদ্রোহ দিবস

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২০, ০০:৫২

আজ ২৭ জানুয়ারি, ঐতিহাসিক সলঙ্গা বিদ্রোহ দিবস। ১৯২২ সালের এ দিনে তদানীন্তন বৃটিশ সরকারের লেলিয়ে দেওয়া পুলিশ বাহিনীর গুলিতে সলঙ্গার হাটে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার বিলেতি পণ্য বর্জন আন্দোলনের কর্মীসহ সাধারণ জনতা শহীদ হন। বৃটিশ শাসনামলে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী অসহযোগ আন্দোলন ও খেলাফত আন্দোলনে জনতা উদ্বেলিত হয়ে বিলেতি পণ্য বর্জন করে স্বদেশী পণ্য ব্যবহারের সংগ্রাম শুরু করেছিল। এমনি একটি আন্দোলনের ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে সলঙ্গায়।

সে সময় তৎকালীন পাবনা জেলার এবং বর্তমান সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গায় একটি ব্যবসায়িক জনপদ হিসেবে সপ্তাহে দুই দিন হাট বসতো। ১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার ছিল হাট বার। মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশের নেতৃত্বে অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনের কর্মীরা হাটে নামেন বিলেতি পণ্য কেনা-বেচা বন্ধ করতে। আর এ স্বদেশী আন্দোলনের কর্মীদের রুখতে ছুটে আসে পাবনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরএন দাস জেলা পুলিশ সুপার ও সিরাজগঞ্জ মহকুমা প্রাসাশক এস কে সিনহাসহ ৪০ জন সশস্ত্র লাল পাগড়ীওয়ালা পুলিশ।

সলঙ্গার গো হাটায় ছিল বিপ্লবী স্বদেশী কর্মীদের অফিস। পুলিশ কংগ্রেস অফিস ঘেরাও পূর্বক গ্রেপ্তার করে মাওলানা আব্দুর রশিদকে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে মুক্ত করতে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিদ্রোহে ফেটে পরে সলঙ্গার সংগ্রামী জনতা। জনতার ঢল ও আক্রোশ দেখে ম্যাজিস্ট্রেট জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়। শুরু হয়ে যায় বুলেট বৃষ্টি। ৪০টি রাইফেলের মধ্যে মাত্র একটি রাইফেল থেকে কোন গুলি বের হয়নি। এ রাইফেলটি ছিল একজন বাহ্মণ পুলিশের। হত্যাকাণ্ডে হতাহতের সংখ্যা সরকারিভাবে সাড়ে ৪ হাজার দেখানো হলেও বেসরকারি মতে ১০ হাজারেরও অধিক বলে জানা যায়।

দিবসটি পালন উপলক্ষে মাওলানা আব্দুর তর্কবাগীশ পাঠাগার ও সলঙ্গা সমাজ কল্যাণ সমিতি তিন দিন ব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সরকারি বেগম নূরুন নাহার তর্কবাগীশ অনার্স কলেজ, তর্কবাগীশ মহিলা মাদরাসা, তর্কবাগীশ উচ্চ বিদ্যালয়, বিদ্রোহী সলঙ্গা ও সলঙ্গা ফোরাম পৃথক পৃথকভাবে আলোচনা সভা ক্রিড়া প্রতিযোগিতা, র‌্যালি ও পুরস্কার বিতরণসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ