আজকের শিরোনাম :

আগামীতে দেশে পেঁয়াজের সঙ্কট হবে না: কৃষিমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২০, ২১:০৭

কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, আগামীতে দেশে পেঁয়াজের সঙ্কট হবে না। পেঁয়াজ নিয়ে মানুষের মধ্যে কিছুটা ক্ষোভ ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল। বর্তমানে দাম কিছুটা বাড়তি থাকলেও স্থিতিশীল রয়েছে। তবে আগামীতে পেঁয়াজ নিয়ে কোনো সঙ্কট সৃষ্টি হবে না। 

বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিনের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

তিনি জানান, দেশে ২৩ থেকে ২৪ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। কিন্তু চাহিদা রয়েছে ৩০ থেকে ৩২ লাখ মেট্রিক টন। অবশিষ্ট চাহিদা পূরণে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। গত মৌসুমে অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষেতেই পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়, ফলে অধিক ঘাটতির সৃষ্টি হয়। পাশ্ববর্তী দেশ ভারত হঠাৎ করে পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে দেশে হু হু করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পায়।

মন্ত্রী বলেন, এতে আমরা বাজারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি। সরকার থেকে দ্রুত চীন, মিশরসহ কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানী করে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

তিনি বলেন, পেঁয়াজের বিষয়টি সরকার এবার গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। মাঠপর্যায়ে নানা প্রণোদনা প্রদানের কারণে অতীতের তুলনায় এবার অধিকহারে পেঁয়াজ উৎপাদন হবে। এক্ষেত্রে আমদানি বন্ধ করে দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনকারী কৃষকরা যাতে ন্যায্যমূল্যে পান, সে ব্যবস্থা করা হবে। কারণ পেঁয়াজ পচনশীল। ভরা মৌসুমে কৃষকরা পেঁয়াজ খুব অল্পমূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হন। এতে পেঁয়াজ উৎপাদনে তারা উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। আগামীতে এটা যেন না হয় সে ব্যাপারে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

জাসদের শিরীন আখতারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে ড. আবদুর রাজ্জাক জানান, বাজারে পেঁয়াজের দাম এখনও কিছুটা বেশি। কিন্তু পেঁয়াজের দাম ১১০ টাকা কেজি কোনভাবেই থাকবে না। অবশ্যই অনেক কমে আসবে। আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছি, এবার ২৩-২৪ লাখ মেট্রিক টনের অনেক বেশি উৎপাদিত হবে, পেঁয়াজের দাম দ্রুতই কমে আসবে। আর ভারতও পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ফলে কোন অসুবিধা হবে না।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আহসানুল হক টিটুর প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, পেঁয়াজ ও বীজ সংরক্ষণের জন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সংরক্ষণ উপকরণ সরবরাহ করা হচ্ছে। দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে চাহিদা পুরণের লক্ষে কৃষকদের মাঝে উন্নতমানের পেঁয়াজ বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে। আর যেহেতু পেঁয়াজ দ্রুত পচনশীল পণ্য, তাই কৃষকের সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করা এবং কৃষকদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ