আজকের শিরোনাম :

৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে হবে মুজিববর্ষ উদ্বোধন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২০, ১৯:৫৩

৩১ বার তোপধ্বনি ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আগামী ১৭ মার্চ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে এ কর্মসূচির উদ্বোধন হবে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সাংসদ আব্দুস সালাম মুর্শেদীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই তথ্য তুলে ধরেন। 

সরকারদলীয় সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহর আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগামী ১৭ মার্চ হতে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়কে মুজিববর্ষ ঘোষণা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে জাতিসংঘের শিল্প বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা ইউনেস্কো ২০২০ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করবে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও বাকস্বাধীনতা সমুন্নত রাখার অনন্যসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সংস্থাটি। জাতি হিসেবে এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্ব ও আনন্দের সংবাদ। 

শেখ হাসিনা জানান, এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, বিশেষ প্রার্থনা এবং জেলা-উপজেলায় বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।

কর্মসূচিগুলো তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও খণ্ডচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হবে। জাতীয় সংসদ সচিবালয় ২০২০ সালের মার্চ মাসে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন আয়োজন করবে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট জন্মশতবার্ষিকীর বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ‘জুলি ও কুরি’ পদক প্রাপ্তি দিবস উদযাপন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন পালন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন এবং বাংলা ও ইংরেজিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী গ্রন্থ প্রকাশ করা হবে।

তিনি বলেন, দেশব্যাপী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমূহের উদ্যোগে তৃণমূলের জনগণকে সম্পৃক্ত করে মুজিববর্ষ উদযাপন; বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা; ইংরেজিতে বঙ্গবন্ধুর ছবি, স্কেচ ও আলোকচিত্র নিয়ে বই ‘শেখ মুজিব; লাইফ অ্যান্ড টাইমস’ প্রকাশ করা হবে। এছাড়া বিদেশি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ও অসমাপ্ত আত্মজীবনী এবং বঙ্গবন্ধু নির্বাচিত ভাষণ ইংরেজি ছাড়াও হিন্দি, উর্দু, ফরাসি, জার্মান, চাইনিজ, আরবি, ফারসি, স্প্যানিশ, ইতালিয়ান, কোরিয়ান ও জাপানি-এই ১২টি ভাষায় অনুবাদ প্রকাশ করা হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে উৎসবমুখর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছাড়াও বছরব্যাপী দেশে-বিদেশে নানা কর্মসূচি থাকবে। 

সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান, এমনকি ব্যক্তি হতে অসংখ্য প্রস্তাব পাওয়া গেলেও বাস্তবায়নের সুবিধার্থে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনায় ২৯৮টি কর্মসূচি রাখা হয়েছে।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ