অকাল মৃত্যু সবাইকে কষ্ট দেয় : প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২০, ২০:১১
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পৃথিবী ছেড়ে সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে। কিন্তু অকাল মৃত্যু সবসময় সবাইকে কষ্ট দেয়। তিনি বলেন, একে একে আমাদের কাছের মানুষরা চলে যাচ্ছেন। যারা চলে যাচ্ছেন তারা প্রত্যেকেই দেশের জন্য অনেক কিছু করে গেছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) শীতকালীন সংসদ অধিবেশনে শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় সংসদে গাইবান্ধা-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইউনুস আলী সরকারের মৃত্যুতে সংসদে আনীত শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রয়াত ইউনুস আলী সরকার ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসেছিলেন। তিনি তার এলাকায় গিয়ে ঘুরে ঘুরে বিনা পয়সায় চিকিৎসা সেবা দিতেন, এমনকি ওষুধও কিনে দিতেন। মানবপ্রেমী এই মানুষটি এত তাড়াতাড়ি পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবেন ভাবতে পারি না।
সামরিক সচিব মিয়া জয়নুল আবেদীন ও শায়খুল হাদিস আল্লামা আশরাফ আলীকে স্মরণ করে তিনি বলেন, কওমি মাদরাসার সনদ প্রদানের ক্ষেত্রে তারা দুজনই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পী যুব মহিলা লীগের সদস্য ছিলেন। ভবিষ্যতে তার উজ্জ্বল নেতৃত্বের সম্ভাবনা ছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা মোকাবিলায় সবসময় সক্রিয় ছিলেন তিনি। তার অকাল মৃত্যু মেনে নেওয়া খুব কঠিন।
ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ার ইমেরিটাস স্যার ফজলে হাসান আবেদের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, তার মৃত্যুর আগে দেখা করতে গেলে তিনি বলেছিলেন আর হয়তো বেশিদিন বাঁচবেন না। সব দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন। ফজলে হাসান আবেদ একজন অমায়িক লোক ছিলেন। আমি প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর তাকে অনুরোধ করে ব্র্যাক ব্যাংক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করিয়েছিলাম। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নেন—ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাতীয় পার্টির মসিউর রহমান রাঙ্গা প্রমুখ।
এবিএন/মমিন/জসিম