আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ১৩ কাউন্সিলর প্রার্থী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২০, ২০:২৭

আপিল শুনানির মাধ্যমে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ১৩ প্রার্থী প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। এরমধ্যে উত্তরে ৩ জন ও দক্ষিণের ১০ জন প্রার্থী রয়েছেন।

পাশাপাশি জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত মেয়র প্রার্থী জিএম কামরুল ইসলামের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বহাল রেখেছে আপিল কর্তৃপক্ষ।

আজ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সভাকক্ষে এ আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
আপিল শুনানি শেষে ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় কমিশনার সেলিম রেজা সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১ জন মেয়র ও ১৮ জন কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের মনোনয়ন ফিরে পেতে আবেদন করেছিলেন। এরমধ্যে আজ মেয়র ও ৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানিতে ৩ জনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। ১ জনের আবেদন নাকচ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আরেক প্রার্থীর করা আবেদন নাকচ করা হয়েছে।

বৈধতা পাওয়া প্রার্থীরা হলেন- ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের মির্জা মোহাম্মদ ইলিয়াস, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের এসএম রেজাউল ইসলাম ও এম ফয়সল আমিন মিলন।

ঋণখেলাপী হওয়ায় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রুহুল আমিনের আবেদন বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী শেখ আমির হোসেনের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে সৈয়দ হাসান মাহমুদের আবেদন নাকচ করেছে আপিল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে আপিল শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ১০ জন কাউন্সিলর প্রার্থী। এছাড়া এক কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে আরেক কাউন্সিলর প্রার্থীর করা আপিল নামঞ্জুর করেছে আপিল কর্তৃপক্ষ।

দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২৪ জন কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের মনোনয়ন ফিরে পেতে আবেদন করেছেন। এরমধ্যে ১৩ জনের আপিল শুনানি আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দক্ষিণ সিটিতে বৈধতা পাওয়া প্রার্থীরা হলেন- ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল্লাহ আল মোমেন ও আতারব রহমান, ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের আপেল মাহমুদ, ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের সেলিম রেজা, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রহিম বাবু ও আনোয়ার পারভেজ বাদল, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের আবু সাইদ, ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের হোসেন মিয়া, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল মোতালেব ও ৬১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সোহেল।

সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী জোহরা খানম জবার প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে হাসিনা আলমের করা আবেদন নাকচ করেছে আপিল কর্তৃপক্ষ।

আপিল শুনানিতে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন ও আইসিটি) একেএম মাসুদুজ্জামান ও ঢাকা বিভাগের পরিচালক (স্থানীয় সরকার) এম ইদ্রিস সিদ্দিকী।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ