আজকের শিরোনাম :

চলতি মাসেই দুটি শৈত্যপ্রবাহ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২০, ১৩:৪৮

চলতি মাসে দেশের ওপর দিয়ে দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। এর মধ্যে আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে শুরু হবে বৃষ্টিসহ মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। আর জানুয়ারির শেষে আসছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। 

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে শৈত্যপ্রবাহ ও সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান। 

এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান ও সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল উপস্থিত ছিলেন।

সামছুদ্দিন আহমদে বলেন, আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস রয়েছে, বছরের প্রথম মাসের প্রথমার্ধেই দেশের অনেক স্থানে বৃষ্টিপাত হবে। গতকাল ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ ছাড়া দেশের সব স্থানেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামীকাল এ বৃষ্টিপাত আরও বাড়বে।

আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ও রাতের তাপমাত্রা আরও কমে যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, জানুয়ারি মাসে আরও দুটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ ছাড়া একটি মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক বলেন, এসব শৈত্যপ্রবাহ চলাকালীন বিভিন্ন বিভাগের জেলাগুলোয় কনকনে শীত অনুভূত হবে। আগামী ৩, ৪, ও ৫ জানুয়ারি বৃষ্টিপাত হবে। বৃষ্টিপাত হওয়ার পর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন স্থানে নামতে শুরু করবে এবং শৈত্যপ্রবাহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিরাজমান থাকবে।

প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস পেয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত দেশের ৬৪ জেলায় ৭ লাখ ২১ হাজার ৮০০ পিস কম্বল পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডার থেকে ২৪ লাখ ৬৯ হাজার ১০০ পিস কম্বল দেওয়া হয়েছে। দেশের ১৬ জেলায় এক কোটি ৬৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলাগুলো হচ্ছে−রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, মাগুরা, নড়াইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ।

তিনি জানান, শিশুদের শীতবস্ত্র কেনার জন্য দেশের ২০টি জেলায় মোট ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিশুখাদ্য কেনার জন্য ২০ জেলায় দেওয়া হয়েছে ২১ লাখ টাকা। জেলাগুলো হচ্ছে−রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, মাগুরা, নড়াইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর ও সুনামগঞ্জ।

প্রতিমন্ত্রী জানান, রংপুর বিভাগের আট জেলায় শুকনা ও অন্যান্য খাবারের দুই হাজার করে মোট ১৬ হাজার কার্টন দেওয়া হয়েছে। এসব কার্টনে প্রতি প্যাকেটে ১০ রকমের খাবার রয়েছে।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ