আজকের শিরোনাম :

আজ শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:৪৩ | আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:৪৭

শুরু হচ্ছে দেশের অ্যাভিয়েশন সেক্টরের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ।

আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর ফলক উন্মোচন করবেন।

অ্যাভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়ামের (এডিসি)মাধ্যমে জাপানি কোম্পানি মিতসুবিশি, ফুজিটা ও কোরিয়ান কোম্পানি স্যামসাং-এ তিনটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান তৃতীয় টার্মিনাল ভবনের নির্মাণকাজ করবে। টার্মিনালটির নির্মাণকাজ শেষ হতে সময় লাগবে ৪ বছর। অত্যাধুনিক এ টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় হবে ২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দর বছরে ৮০ লাখ যাত্রী সেবা দিতে সক্ষম। এটি নির্মিত হলে এ বিমানবন্দর দিয়ে বছরে মোট ২ কোটি যাত্রী চলাচল করতে পারবেন।

জানা গেছে, নতুন এ টার্মিনালের মূল ভবনের কলাম, সিলিংসহ বিভিন্ন স্থানের ডিজাইনে পদ্মফুলের নকশা থাকবে। টার্মিনালটি হবে অটোমেটেড। দেখতে হবে অনেকটা পদ্মফুলের মতো।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানিয়েছে, তৃতীয় টার্মিনালের তিনতলা বিশিষ্ট ভবনটির আয়তন হবে ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার। লম্বা ৭০০ মিটার ও চওড়া ২০০ মিটার। এ ভবনটির নকশা করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সিঙ্গাপুরের সিপিজি করপোরেশন (প্রাইভেট) লিমিডেটের স্থপতি রুহানি বাহারিন। রুহানি বাহারিন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক টার্মিনাল ভবনের নকশা করেছেন।

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, বর্তমান টার্মিনালের ধারণা ক্ষমতা বছরে মাত্র ৮০ লাখ। একইসঙ্গে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৮ শতাংশ যাত্রী বাড়ছে। ফলে এ টার্মিনাল নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছিলো। 

বেবিচক সূত্রে জানা যায়, শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালে ২৪টি বোডিং ব্রিজের ব্যবস্থা থাকলেও প্রকল্পের প্রথমধাপে ১২টি বোডিং ব্রিজ চালু করা হবে। বহির্গমনের জন্য ১৫টি সেলফ সার্ভিস চেক-ইন কাউন্টারসহ মোট ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার থাকবে। এছাড়া ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টারসহ মোট ৬৬টি ডিপারচার ইমিগ্রেশন কাউন্টার থাকবে। 

আগমনীর ক্ষেত্রে পাঁচটি স্বয়ংক্রিয় চেক-ইন কাউন্টারসহ মোট ৫৯টি পাসপোর্ট এবং ১৯টি চেক-ইন অ্যারাইভেল কাউন্টার থাকবে। টার্মিনালে ১৬টি আগমনী ব্যাগেজ বেল্ট স্থাপন করা হবে। এছাড়া অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগেজের জন্য চারটি পৃথক বেল্ট স্থাপন করা হবে। টার্মিনাল ভবনের সঙ্গে সুড়ঙ্গপথ এবং উড়ালসেতু নির্মাণ করা হবে। যার মাধ্যমে মেট্রোরেল ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ ব্যবস্থাও থাকবে। তৃতীয় টার্মিনালে থাকবে আন্তর্জাতিক মানের অত্যাধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। লাউঞ্জ, দোকান, রেস্টুরেন্টসহ সংশ্লিষ্ট অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের যাত্রীসেবার সুবিধাও রাখা হবে।

তৃতীয় টার্মিনালে যাত্রীদের দ্রুত সেবা দিতে গ্রাউন্ড সেবায়ও আসবে পরিবর্তন। বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স শাহজালাল বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দিচ্ছে। তৃতীয় টার্মিনালে বিমান ছাড়াও অন্য প্রতিষ্ঠান গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে।

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, টার্মিনালটির কাজ শেষ হলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে। ভবিষ্যতে আরও অনেক দেশের বিমান সংস্থার এ বিমানবন্দর দিয়ে চলাচলের সুযোগ সৃষ্টি হবে। 

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, টার্মিনাল নির্মাণ সমাপ্তির পর তা হবে সবার প্রত্যাশার একটি সুন্দর ও অত্যাধুনিক বিমানবন্দর। এ অঞ্চলের সেরা বিমানবন্দরে পরিণত হবে এটি।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ