আজকের শিরোনাম :

নুরের ওপর হামলা অত্যন্ত দুঃখজনক : তথ্যমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৫:১৮

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনা তদন্ত করা হবে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ব‌লে‌ছেন, যে ঘটনা ঘটেছে এটি অত্যন্ত দুঃখজনক, অনভিপ্রেত, অগ্রহণযোগ্য। আমরা এ ধরনের হামলা সমর্থন করি না।

আজ সোমবার দুপু‌রে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের তি‌নি এ কথা বলেন।

এসময় তথ‌্যমন্ত্রী বলেন, দুঃখজনক হামলার পর পরই আমাদের দলের জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ দুজন নেতা সম‌বেদনা জানা‌তে সেখানে গিয়েছিলেন। তারা দলের অবস্থানের কথা পরিষ্কার করেছেন। আজকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দল ও সরকারের পক্ষ থেকে কথা বলেছেন। আমাদের বক্তব্য একই, আমরা এ ধরনের ঘটনা আমরা সমর্থন করি না। এমন ঘটনা নিন্দনীয়।

আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, অবশ্যই এটা তদন্ত হবে। আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি এ ঘটনা অগ্রহণযোগ্য, অনভিপ্রেত ও নিন্দনীয়। একই সঙ্গে আমি প্রশ্ন রেখেছি কোন ইন্ধন ছিল কী না, কারণ কেউ কেউ আলোচনায় থাকতে চায়। আমরা আগেও দেখেছি ডাকসু ভিপি নুর আলোচনায় থাকতে চান। আর বহিরাগতদের উপস্থিতি নিয়ে বাকবিতণ্ডার পরেই কিন্তু এ ঘটনা ঘটেছে।

নুর কেন বহিরাগতদের নিয়ে সেখানে গেলেন, এতগুলো বহিরাগতদের নিয়ে সেখানে যাওয়ার কি প্রয়োজন ছিল? প্রশ্ন করেন ড. হাছান মাহমুদ।

তি‌নি ব‌লেন, আপনারা দেখেছেন সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য দেশে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র আছে। রাজনৈতিকভাবে সরকারকে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে আমাদের প্রতিপক্ষ যারা দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চায়। সেই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে। এ ধরনের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে কী না এবং যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে তাতে উস্কানি ছিল কী না সেটা দেখা হচ্ছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতের ঘটনা প্রবাহ নিয়ে সেখানে আন্দোলন করার চেষ্টা ডাকসুর কাজ নয়, তাদের কাজ হচ্ছে ছাত্রদের বিষয় নিয়ে কথা বলা। কিন্তু সেটা না করে ভারতের বিষয় নিয়ে আন্দোলনের চেষ্টা এবং বহিরাগতদের নিয়ে সেখানে উপস্থিত হওয়া এগুলো ঘটনা ঘটানোর জন্য ইন্ধন আছে কী না তা দেখার প্রয়োজন রয়েছে। 

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের ব্যানারে ছাত্রলীগ-ছাত্রফ্রন্ট এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী যে কোনো সংগঠনের নেতৃবৃন্দ থাকতে পারে। কিন্তু ঘটনা ঘটেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ব্যানারে।

আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল দেশের প্রক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক আখ‌্যা‌য়িত ক‌রে আওয়ামী লী‌গের সাধারণ  সম্পাদক ব‌লেন, এই কাউন্সিলকে ঘিরে সমগ্র জেলা ও উপজেলায় কাউন্সিলর ঘোষিত হয়েছে। আমরা জনগণের ম্যান্ডেড নিয়ে টানা এগার বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছি।

সে কারণে দলের মধ্যে অনেক স্বার্থান্বেষী মহলের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এবার জাতীয় কাউন্সিলকে ঘিরে সমস্ত জেলা উপজেলায় যে কাউন্সিল হয়েছে সেখানে একটি বার্তাই দেয়া হয়েছে। দলের মধ্যে যারা সুযোগ সন্ধানী, যারা এক সময় দলের বিরুদ্ধে কাজ করেছে, যারা অনুপ্রবেশকারী, তাদেরকে অবশ্যই নেতৃত্বে আনা যাবে না। সেই মোতাবেক জেলা উপজেলায় কমিটি করা হয়েছে।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ