আজকের শিরোনাম :

নিজেকে সফল বললেন খোকন, ফের মনোনয়নের প্রত্যাশা আতিকুলের

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৪:৪৫

গত ৫ বছর ধরে ঢাকা দক্ষিণ সিটির দায়িত্ব পালন করছেন মেয়র সাঈদ খোকন। তার কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, কেন আগামীতে নগরবাসী আপনাকে মেয়র নির্বাচিত করবে?

এর জবাবে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমি নিজেকে সফল মনে করি। কারণ, আমি ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করতে সক্ষম হয়েছি। ৫২ বাজার ৫৩ গলি খ্যাত ঢাকা শহরের এমন কোনো অলিগলি নেই, যেখানে আমি একটা ইতিবাচক পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগাতে পারিনি।’

অন্যদিকে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আসন্ন নির্বাচনে মেয়র পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে ফের মনোনয়ন পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বর্তমান মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘আমি সময় নষ্ট করিনি। তাই আমার বিশ্বাস, আবারও আওয়ামী লীগ থেকে নমিনেশন পাবো।’

আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গের সংবর্ধনা ও পুনর্মিলনী’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের পৃথক প্রশ্নের জবাবে ঢাকার দুই নগরপিতা এসব কথা বলেন।

নিজের সফলতা তুলে ধরে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘শান্তিনগরের ৪০ বছরের জলাবদ্ধতা তো আমিই নিরসন করলাম। নাজিমদ্দিন রোডে প্রায় ৫০ বছরের জলাবদ্ধতার সমস্যা ছিল, সেটাও সমাধান করেছি। বংশাল, পুরোনো ঢাকার জলাবদ্ধতা আমরা সমাধান করেছি। আবার নতুন কিছু কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতা হচ্ছে। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করি, নগরবাসী যদি আমাদের ভালোবাসায় সিক্ত করেন, আমাদের কাজগুলো অব্যাহত রাখার সুযোগ দেন, এসব সমস্যার সমাধান করতে পারব।’

ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ তাকে আবার মনোনয়ন দেবে কি না, এর জবাবে সাঈদ খোকন বলেন, ‘ইনশা-আল্লাহ, আমি আশাবাদী। দল থেকে উভয় মেয়র মনোনয়ন পাব।’

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। এ বিষয়ে সাঈদ খোকন বলেন, ‘পদত্যাগ করে নির্বাচন করার কথা যেটা বলা হয়েছে, সেটা আইনে যেভাবে বলা হয়েছে, আইনকে অনুসরণ করে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’

অন্যদিকে বিগত উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হয়ে দায়িত্ব নেয়া আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সময় নষ্ট করিনি। দায়িত্ব পাওয়ার পর যতটুকু সময় পেয়েছি আমি চেষ্টা করেছি সবাইকে নিয়ে কাজ করতে এবং তা সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি।’

‘আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি বড় দল, একটি ঐতিহ্যবাহী দল, দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে এ দল। তারা আমার কাজের মূল্যায়ন করবে। তাই আমার প্রত্যাশা আমি আওয়ামী লীগ থেকে আবারও নমিনেশন পাবো।’

আগামীতে জয়ী হলে যানজটকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবেন জানিয়ে আতিকুল বলেন, ‘নয় মাসে যে কাজ করেছি, সামনের ভোটে জয়ী হলে সেই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখব। যানজট নিরসনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেব। যতটুকু কাজ করা যায় আমরা তা করব। নগর উন্নয়নের সঙ্গে ৫৪টি সংস্থা রয়েছে, আমরা সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করব, এটাই আমার প্রত্যাশা।’

অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলামসহ কয়েকশ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গত রোববার (২২ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল অনুযায়ী, দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হবে ৩০ জানুয়ারি। তার আগে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২ জানুয়ারি এবং প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ জানুয়ারি।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ভাগ হওয়ার পর ২০১৫ সালের এপ্রিলে দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচনের পর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রথম সভা হয় ওই বছরের ১৪ মে, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সভা হয় ১৭ মে। এ হিসাবে ডিএনসিসির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৩ মে, আর ডিএসসিসির মেয়াদ শেষ হবে একই বছরের ১৬ মে।

ডিএনসিসিতে ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১। সাধারণ ওয়ার্ড ৫৪টি এবং সংরক্ষিত ১৮টি। সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা এক হাজার ৩৪৯ এবং ভোটকক্ষ সাত হাজার ৫১৬টি।

ডিএসসিসিতে ভোটার সংখ্যা ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮। সাধারণ ওয়ার্ড ৭৫টি এবং সংরক্ষিত ২৫টি। সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র এক হাজার ১২৪ এবং ভোটকক্ষ পাঁচ হাজার ৯৯৮টি।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ