আজকের শিরোনাম :

শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হতে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:২৯ | আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:৩৩

আগামীকাল ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ দিনে মেলে আমাদের আকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে নেয় নতুন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ, যা বাঙালি জাতিকে এনে দেয় আত্মপরিচয়ের ঠিকানা। যাদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এ স্বাধীনতা, সেসব শহীদকে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করতে পুরোপুরি প্রস্তুত সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ।

দিবসটির প্রথম প্রহরে জাতির বীর সন্তানদের উদ্দেশে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিকসহ বিশিষ্টজনরা। এর পরই সর্বস্তরের মানুষের হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ফুলে ফুলে ভরে যাবে শহীদ বেদি।

বিজয় উদযাপনে প্রতিবছরের মতো এবারও সাজানো হয়েছে স্মৃতিসৌধ। পুরো স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ধুয়ে মুছে এরইমধ্যে ঝকঝকে করে তোলা হয়েছে। বর্ণিল ফুলের চারা রোপণ ও রং তুলির আঁচড়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে পুরো স্মৃতিসৌধ চত্বর। লাল, নীল, হলুদ রঙিন বাতিতে ঝলমল চারদিক।

জানা যায়, বিজয় দিবসকে সামনে রেখে গত ১৫ দিন ধরেই পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করছেন গণপূর্ত বিভাগের ৬৫ জনসহ বহিরাগত প্রায় আরও ৫০ জন কর্মচারী। স্মৃতিসৌধ স্তম্ভসহ পুরো এলাকা ধুয়ে ফেলার পর শহীদ বেদি থেকে প্রধান ফটক পর্যন্ত পায়ে হাঁটার লাল ইটের পথকে দৃষ্টিনন্দন করে তোলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবছরের মতো সৌধ প্রাঙ্গণের বিভিন্ন স্থানে রোপণ করা হয়েছে লাল, নীল, হলুদ, বেগুনিসহ বাহারি ফুল গাছের চারা। লেকের বাড়তি জলজ উদ্ভিদ পরিস্কার করে লাগানো হয়েছে লাল পদ্ম। এছাড়া পুরো এলাকায় শোভা বর্ধনে গাছ ও ঘাস ছেঁটে ফেলাসহ আলোকবাতি স্থাপনের কাজও এরই মধ্যে শেষ করা হয়েছে।

সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, কয়েকদিন ধরেই স্মৃতিসৌধের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করা হয়েছে। এ বছর স্মৃতিসৌধকে একটু অন্যরকম করে সাজানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এসব কাজের জন্যে গত ৬ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার বন্ধ রাখা হয়েছিল।

১৬ ডিসেম্বর সকালে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশি কূটনীতিকদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর স্মৃতিসৌধ এলাকা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এ ছাড়া স্মৃতিসৌধ এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও কাজ করবে।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ