আজকের শিরোনাম :

দগ্ধদের সবার অবস্থা খারাপ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৪:০২

কেরানীগঞ্জের অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের সবার অবস্থা খারাপ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ঘটনা খুবই দুঃখজনক। কেরানীগঞ্জের ঘটনায় যে রোগীগুলো হাসপাতালে এসেছে, তাদের সবার অবস্থা খারাপ। হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সসহ স্টাফরা অনেক কষ্ট করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ‘প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’র কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ঢামেক বার্ন উইনিটে ভর্তি দগ্ধদের খোঁজ-খবর নেওয়ার পর তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঘটনা খুবই দুঃখজনক। কেরানীগঞ্জের ঘটনায় যে রোগীগুলো হাসপাতালে এসেছে, তাদের সবার অবস্থা খারাপ। হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সসহ স্টাফরা অনেক কষ্ট করেছেন। এখনো যারা ভর্তি আছেন তাদের অবস্থা খারাপ। প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক খবর রাখছেন। সরকারি করছে তাদের চিকিৎসার নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, অনেক কারখানা আছে যারা নিয়ম কানুন মেনে কাজ করে না। অনেক জায়গায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকতে পারে না। এ বিষয়ে মালিকদের সতর্ক থাকতে হবে। তাদের উদাসীনতাই এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আজ যেখানে আগুন লেগেছে। সেখানে নিশ্চয় আগুন নেভানোর সরঞ্জাম ছিল না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পুরান ঢাকার কয়েক জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ জন্য সরকার তাদের জন্য বড় জায়গা করে রেখেছে। পুরান ঢাকার ক্যামিকেল গোডাউনগুলো সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। সব কারখানায় ফায়ার সেফটি ভালো রাখতে হবে। দুর্জয় নামে একজন রোগী ছিল। নিজ ইচ্ছায় তাকে বাসায় নিয়ে গেছে।

বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে ভয়াবহ ইনজুরি এটা। বদ্ধ ঘরের ভেতরে ছিল আগুনটা। যেহেতু প্লাস্টিকের কারখানা, মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ঘরের ভেতরে ছড়িয়ে পড়েছে।’

উল্লেখ্য, কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ার প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের চিকিৎসার জন্য ১২ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ডা. বিধান সরকারকে বোর্ডের প্রধান করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে তারা বৈঠক করবেন।

উল্লেখ্য, বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে ওই প্লাস্টিক কারখানায় আগুনের ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থলে এক জন নিহত হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এসময় অন্তত ৩৭ জন দগ্ধ হন। এদের মধ্যে ৩১ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়। পরে আরও ১০ জন মারা যান। 

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ