আজকের শিরোনাম :

চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান আর নেই

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:২৪ | আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:৩১

অবশেষে না ফেরার দেশেই চলে গেলেন দশবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া বরেণ্য চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। 

বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১২টা ২৬ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। 

এর আগে বেশ কয়েকবার তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও তিনি সে সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালেই ছিলেন।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির এক সদস্য মাহফুজুর রহমান খানের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গত ৩০ নভেম্বর মাহফুজুর রহমান খানের অবস্থা বেগতিক দেখে চিকিৎসকদের পরামর্শে গ্রিন লাইফ হাসপাতাল থেকে ইউনাইটেড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আর এখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

তার স্বজনরা জানান, পুরান ঢাকার চকবাজারের শাহী মসজিদে আজ শুক্রবার তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে পরিবারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক এফডিসিতে নেওয়া হতে পারে।

পরিবারের ভাষ্য, ২৫ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগের দিনও পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন মাহফুজুর রহমান খান। কিন্তু ওইদিন সন্ধ্যায় খেতে বসলে তার কাশির সঙ্গে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এরপর দ্রুত হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখার পরামর্শ দেন।

এর পর থেকেই লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় এই চিত্রগ্রাহককে। কিন্তু ২৮ নভেম্বর ফুসফুস ও পাকস্থলীতে থেমে থেমে রক্তক্ষরণ হচ্ছিলো বলে জানান তার চিকিৎসকরা। এমনকি বিভিন্ন অঙ্গ অকার্যকর হয়ে পড়ে তার। শেষ পর্যন্ত আর রক্ষা হলো না এই গুণী চিত্রগ্রাহকের।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে মাহফুজুর রহমান খান ডায়াবেটিস ও ফুসফুসের রোগে ভুগছিলেন। তার স্ত্রী মারা যান ২০০১ সালে। তখন থেকেই ধীরে ধীরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

পেশাদার চিত্রগ্রাহক হিসেবে মাহফুজুর রহমান খান ১৯৭২ সালে প্রথম চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তিনি আলমগীর কবির, আলমগীর কুমকুম, হুমায়ুন আহমেদ, শিবলি সাদিকদের মত কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেন। বিশেষ করে হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত প্রায় সব চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রাহক ছিলেন তিনি।

তার চিত্রগ্রহণে সিনেমাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য - আমার জন্মভূমি, অভিযান, মহানায়ক, চাঁপা ডাঙ্গার বউ, ঢাকা ৮৬, অন্তরে অন্তরে, পোকা মাকড়ের ঘর বসতি, আনন্দ অশ্রু, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, নন্দিত নরকে, হাজার বছর ধরে, বৃত্তের বাইরে, ঘেটুপুত্র কমলা।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ