আজকের শিরোনাম :

শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০১৯, ১০:২৯ | আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০১৯, ১৩:৩৯

ছবি : ফোকাস বাংলা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা সম্মিলিতভাবে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণের সূচনা করে। প্রতিবছর দিনটি সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করে বাংলাদেশ।

এ দিবস উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধান্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে পৌঁছলে তিন বাহিনীর প্রধান ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার তাদের স্বাগত জানান।

রাষ্ট্রপতি হামিদ শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় সামরিক কায়দায় অভিবাদন জানায়। বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। পরে রাষ্ট্রপতি শিখা অনির্বাণ চত্বরে রাখা পরিদর্শন বইয়ে সই করেন।

রাষ্ট্রপতির পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে শহীদ সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় গার্ড অব অনার দেয়। প্রধানমন্ত্রীও পরে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানের পর সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনীপ্রধান অ্যাডমিরাল অ্যাডমিরাল আবু মোজাফফর মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব চৌধুরী ও বিমান বাহিনীপ্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিখা অনির্বাণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এর আগে  দিবসটি উপলক্ষে ভোরে দেশের সব সেনানিবাস, নৌঘাঁটি ও স্থাপনা এবং বিমান বাহিনীর ঘাঁটির মসজিদগুলোয় ফজরের নামাজ শেষে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি এবং সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

এদিকে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে স্বাধীনতাযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। একই অনুষ্ঠানে ২০১৯-২০ সালে সশস্ত্র বাহিনীর শান্তিকালীন সেনা/নৌ/বিমানবাহিনী পদক এবং অসামান্য সেবা পদকপ্রাপ্ত সদস্যদের পদক দেওয়া হবে। 

বিকালে সেনাকুঞ্জে সম্প্রসারিত  ও পুনর্নির্মিত সেনাকুঞ্জ উদ্বোধন এবং সেনাকুঞ্জ আয়োজিত সংবর্ধণা অনুষ্ঠানেও যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করবেন তিন বাহিনী প্রধান। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ