আজকের শিরোনাম :

নতুন সড়ক আইনে আগামী সাত দিন মামলা নয় : সেতুমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০১৯, ১৩:০৭ | আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০১৯, ১৩:০৭

নতুন সড়ক পরিবহন আইনে আগামী সাত দিন মামলা দায়ের না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নে বিআরটিএ’র (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী একথা জানান।

এসময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নতুন সড়ক পরিবহন আইন পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে দুর্ঘটনা কমে যাওয়াসহ সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ১ নভেম্বর থেকে এই আইন কার্যকর করা হয়েছে।  তবে সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরের জন্য এখন সারা বাংলাদেশ সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।  আগামী সাতদিন এই প্রচারণা চলবে।  এই সময় কোনও পরিবহনের বিরুদ্ধে নতুন আইনে মামলা দায়ের না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে শুদ্ধি অভিযান চলছে। এরইমধ্যে জেলা ও তৃণমূল পর্যায়ে ভূমিদস্যু, মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনে এসব ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজরা যাতে স্থান না পায় সেজন্য তৃণমূলের নেতাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

র্নীতির মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়েও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের এই নেতা। ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের বক্তব্যের সঙ্গে দলীয় নেতাদের বক্তব্যের কোনও মিল নেই। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে। উনার শারীরিক অবস্থার এমন কোনও অবনতি হয়নি যে তাকে বিদেশ পাঠাতে হবে। মেডিক্যাল বোর্ডে খালেদা জিয়ার পছন্দের ডাক্তার রয়েছেন। সেই মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা বলছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো আছে এবং তিনি সুচিকিৎসা পাচ্ছেন।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন যদি সুষ্ঠু, সুন্দর না হতো মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি কেন নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। বর্তমান সংসদকে অবৈধ বলা হয়, তাহলে সংসদে যোগ দেওয়া বিএনপির সাত সংসদ সদস্যও অবৈধ। বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নেতাকর্মীদের চাঙা রাখতে গলাবাজি করছে। বিএনপি বার বার আন্দোলনের ডাক দেওয়ার পরও জনগণ সাড়া না দেওয়ায় আন্দোলনে ব্যর্থ, নেতৃত্বে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন নালিশ করছে মানুষের কাছে। নালিশ করা বিএনপির একটি রোগে পরিণত হয়েছে।’

মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ'র চেয়ারম্যান ড. আহসানুল করিম, হাইওয়ে পুলিশের পুলিশের অতিরিক্ত আইজি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. হারুন-অর-রশিদসহ বিআরটিএ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ