‘সাইবার অপরাধ দমনে পুলিশকে আরও কৌশলী হতে হবে’

চলমান সাইবার অপরাধকে দমন করতে পুলিশ সদস্যদের আরও বেশি আধুনিক ও কৌশলী হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

আজ রবিবার সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে ‘বিশেষ তদন্ত বিষয়ক যৌথ প্রশিক্ষণ’ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ মন্তব্য করেন।

দুদক ও পুলিশের বিশেষ ইউনিট কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) যৌথ উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদকের সক্ষতার অভাব রয়েছে, ইনভেস্টিগেশনে দুবর্লতা রয়েছে। প্রতিষ্ঠান চলমান রাখতে হলে অন্যদের সাথে তাল মিলিয়ে মিথস্ক্রিয়া করে কাজ করে থাকে। কীভাবে ইনভেস্টিগেশন করতে হয় দুদক কর্মকর্তাদের আরও জানতে ও শিখতে হবে।

তিনি বলেন, কাজের ক্ষেত্রে দেশের প্রতি ও দেশের মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট থাকতে হবে। দুদকের অভ্যন্তরে যে দুর্নীতি আছে আমরা তা দূর করার এবং স্বচ্ছতা আনার চেষ্টা করছি। প্রতিষ্ঠান বা সরকার সব করতে পারবে না, তবে চেষ্টা করতে হবে। এ জন্য পারস্পারিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনে দুর্নীতি নেই সেটা বলতে পারব না। দুর্নীতি যেমন আছে সেখানে জবাবদিহিতাও রয়েছে। তাই কমিটমেন্ট অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। দুর্নীতি ঘটার আগে যদি সেটা ধরতে পারি সেটাই হবে আসল উদ্দেশ্য। দুর্নীতি যদি ঘটেই যায় তাহলে আমাদের থাকার উদ্দেশ্য কি? তাই আগে থেকে দুর্নীতি ধরতে আমাদের সোচ্চার হতে হবে।

তিনি বলেন, দুর্নীতি দমনে দুদকের প্রতি যে মানুষের প্রত্যাশা তা অনেকটা পূরণ করা সম্ভব হয়নি, তবে অবস্থা পরিবর্তনের কমিশন আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদক একা নয়, জনগণ ও সরকারের সব প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা ছাড়া দুর্নীতি সন্ত্রাস দমন সম্ভব নয়।  

তিনি আরও বলেন, তদন্তকাজ ঠিক মতো যদি না হয় তা হলে অপরাধীরা সব সময় ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। তাই যারা এ নিয়ে কাজ করবেন তাদের সব সময় আপডেট থাকতে হবে। সমালোচনা সব সময় সাদরে গ্রহণ করতে হবে। যদি সমালোচনা থাকে তাহলে জবাবদিহিতা থাকে।

কর্মশালায় ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন,  দুর্নীতি সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমন করা গেলে দেশের অনেক উন্নয়ন হবে। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে প্রশিক্ষণার্থীদের তাগিদ দেন ডিএমপি কমিশনার। 

তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সাধারণ অপরাধগুলোর মধ্যেও প্রযুক্তিগত বিষয় নিয়ে কাজ করতে হয়। প্রযুক্তি সব সময় পরিবর্তন হয়। তাই যারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন তারা সেগুলোর সঙ্গে আপডেট থাকবেন। লোভে পড়লে শুধু অর্থ উপার্জন সম্ভব আর লোভে না পড়লে দেশের সব অর্জন সম্ভব।

এবিএন/সাদিক/জসিম