আজকের শিরোনাম :

রেডিক্যালাইজড হয়ে জঙ্গিবাদে জড়াচ্ছে তরুণরা : মনিরুল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০১৯, ১৪:০৯

ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেছেন, যাদের জঙ্গি সন্দেহে আটক বা গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তারা আগেও কোন না কোনভাবে জঙ্গিবাদের সঙ্গে ছিল।  প্রতিনিয়িত জঙ্গিবাদের রিক্রুটার মটিভেটররা ইন্টারনেটে লুকরেটিভ ও অ্যাট্রাকটিভ প্যাকেজ দিচ্ছে।

আজ শনিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ঢাকা পিস টক শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপির অতিরিক্ত এই কমিশনার বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের অনেকেই নতুন করে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ছে। তারা বয়সে তরুণ। তাদের রেডিক্যালাইজড করা হচ্ছে। জঙ্গিবাদের রিক্রুট, মোটিভেটরসহ নানা ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘যারা মানসিকভাবে দুর্বল ও দেশপ্রেম নাই, মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ নাই, মতাদর্শিক জায়গায় ধারণা নাই, টলারেন্স নাই, জীবনের বাস্তবতা যারা মেনে নিতে পারে না, যারা শর্টকাট পথ খুঁজছে তারাই জঙ্গিবাদে জড়াচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘হলি আর্টিজানে হামলার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গি বিরোধী অভিযান বেশ জোরালো করে। তারই অংশ হিসেবে অনেক জঙ্গী সেসময় আত্মগোপনে চলে যায়। কিন্তু আমরা তাদের সবসময় গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখার চেষ্টা করছি। অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা কোনো না কোনোভাবে অন্য কোন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে স্বীকার করেছে। এতটুকু নিশ্চিত করতে পারি জঙ্গিবাদ আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে না।

একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং সিসার্ফের নির্বাহী পরিচালক শবনম আজিম বলেন, গবেষণার ফল বলে উগ্রবাদের নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। কেননা একেক পরিস্থিতিতে এককভাবে উগ্রবাদের সৃষ্টি হয়েছে। কোনো ছকেই এই উগ্রবাদকে সরলীকরণ করা যাবে না। সহিংস উগ্রবাদ বা এর ঘনীভূত রূপ সন্ত্রাসবাদ দমনের মতো একটি দীর্ঘমেয়াদি জটিল কাজ কোনো সুনির্দিষ্ট বাহিনী, সংস্থা ও ব্যক্তির পক্ষেও সম্ভব না। এজন্য সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, শুধু যে ধর্মীয় উন্মাদনার কারণে সহিংস উগ্রবাদের ঘটনা ঘটছে তা কিন্তু নয়। নানা সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য ও মূল্যবোধ এরকম নানান বিষয় এর সঙ্গে জড়িত। কী কারণে আমাদের তরুণরা সহিংস উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডে জড়াচ্ছে তা নিয়ে অনুসন্ধান ও গবেষণাই আমাদের লক্ষ্য।

তিনি আরও বলেন, তরুণরাই বেশি সহিংস উগ্রবাদে ঝুঁকে। আর ক্ষতি পুরো জাতির। কোনো শিক্ষার্থী যাতে উগ্রবাদে না জড়ায়, সেজন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি অব্যাহত রাখার পাশাপাশি দরকার পরিবারভিত্তিক মনস্তাত্ত্বিক শিক্ষা। এরপর সামাজিক পরিবেশ ও রাষ্ট্রীয়ভাবে উগ্রবাদ ও মনস্তাত্ত্বিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। এই ক্ষেত্রে সিসার্ফ সচেনতামূলক কাজটিই করতে চায়। যে কাজগুলো মানুষকে জঙ্গিবাদে নিয়ে যায় সিসার্ফ ‘ঢাকা পিস টক’ এর মাধ্যমে সেগুলো শনাক্ত করবে ও সমাধানের পথও দেখাবে।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ