আজকের শিরোনাম :

দুর্নীতিবাজ যেই হোক না কেন, কোনও ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:০২ | আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৬:০৫

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আসাদুজ্জামান খান কামাল
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘দুর্নীতিবাজ যেই হোক, কোনও ছাড় দেওয়া হবে না।  অন্যায়-দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। ’

আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন বরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

এসময় আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী, দুর্নীতিবাজ জনপ্রতিনিধি হোক আর প্রশাসনের লোক হোক- ছাড় দেওয়া হবে না। কারও বিরুদ্ধে অন্যায়, অপরাধ, দুর্নীতির অভিযোগ পেলে প্রমাণের ভিত্তিতে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’

এর আগে, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, অন্যায়-দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। অপরাধী যে দলেরই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। অপরাধীদের শনাক্তকরণে গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তালিকা পেলে সেটা যে ধরনেরই প্রতিষ্ঠান হোক, তাদের দমন করা হবে।

নর্থ নাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠান করতে চান। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে দুর্নীতি রোধ করাটা আমরা একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছি। তাই যারা অনিয়ম-দুর্নীতি করছে বা অবৈধভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছে অথবা অপরাধ করার চেষ্টা করছে, তাদের দমন করা হবে। এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যে দল-মতেরই হোক, কঠোর হাতে তাদের দমন করা হবে। বর্তমানে যে অভিযান শুরু হয়েছে। এটি চলমান থাকবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে জঙ্গি তৎপরতা শুরু করা হয়েছিল, আমরা নানা ধরনের কর্মসূচি হাতে নিয়ে তা দমন করতে সক্ষম হয়েছি। দেশের জনগণ আমাদের সহযোগিতা করেছেন। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাদক কেনা-বেচা হচ্ছে। তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনছি।

তিনি বলেন, ইন্টারনেটে সাইবারক্রাইম হচ্ছে। তারা সুকৌশলে ক্রাইম করে আমাদের গোলকধাঁধায় ফেলছে। তাদের রোধ করতে দেশের মেধাবীদের সহয়তায় নতুন প্রযুক্তি তৈরি করা হচ্ছে। নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের সাইবার ক্রাইম অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

‘আমরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে কাজ করছি। এসসিজি বাস্তবায়নের জন্য দরকার টেকসই নিরাপত্তা, সে লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যেই অপরাধ করবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান বেনজীর আহমেদ, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যসহ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক প্রমুখ।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ