আজকের শিরোনাম :

বিকালে ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:৪৫ | আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৯:৪৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চতুর্থ বোয়িং ৭৮৭-৮ নতুন ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করবেন আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর)। বিকাল ৪টায় হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (এইচএসআইএ) ভিভিআইপি টারমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সিয়াটেলের বোয়িং সংস্থা থেকে কেনা জাতীয় পতাকাবাহী বিমান ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করবেন তিনি।

এর আগে, শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল চারটা ৩৯ মিনিটে ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল থেকে শাহজালালে অবতরণ করে। বিমানের ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহমিনা আক্তার এ তথ্য জানান।

তাহমিনা আক্তার জানান, শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছার পর ড্রিমলাইনারটিকে ওয়াটার ক্যানন স্যালুটের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ক্যাপ্টেন ফারহাদ হাসান জামিল নতুন রাজহংসকে স্বাগত জানান। ‘রাজহংস’ যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিমানের উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৬টি।

তিনি জানান,  ১৭ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চতুর্থ বোয়িং ৭৮৭-৮ নতুন ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

বিমানের বোর্ড চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) মুহাম্মদ এনামুল বারীর নেতৃত্বে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন অথরিটি (সিএএবি) এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল গতকাল সিয়াটেলের বোয়িং সংস্থা থেকে বিমানটি গ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ অব ফ্লাইট সেফটি ক্যাপ্টেন শোয়েব চৌধুরীর নেতৃত্বে ৪ জন পাইলট বিমানটি চালিয়ে ঢাকা নিয়ে আসেন। এর আগে আকাশ বীণা ও হংস বলাকা নামে যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় ড্রিমলাইনার বোয়িং ৭৮৮৭-৮ যথাক্রমে গত বছরের আগস্ট ও ডিসেম্বরে এখানে পৌঁছেছে এবং তৃতীয়টি গত জুলাইয়ে পৌঁছায়।

২০০৮ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বোয়িংয়ের সাথে ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে ১০টি নতুন এয়ারক্রাফ্ট কেনার চুক্তি করে। এর মধ্যে বোয়িং ইতোমধ্যে বিমানকে চারটি ৭৭৭-৩০০ইআর এবং দুটি ৭৩৭-৮০০’এস এবং তিনটি ড্রিমলাইনার সরবরাহ করেছে।

২৭১ সিটের রাজহংস বোয়িং ৭৮৭-৮, অন্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ জ্বালানি দক্ষ ক্যারিয়ার হিসেবে নকশা করা হয়েছে। বিমানটি প্রতি ঘণ্টা ৬৫০ মাইল গতিসহ টানা ১৬ ঘণ্টা উড়ার ক্ষমতা রাখে।

এটি যাত্রীদের ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে বা বিশ্বের যে কোনো জায়গা থেকে তাদের বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সুযোগ দিয়ে ৪৩ হাজার ফুট উচ্চতায় তার যাত্রীদের ওয়াই-ফাই পরিসেবা সরবরাহ করবে।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ