আজকের শিরোনাম :

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে দুই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় চান দুদক চেয়ারম্যান

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:৩৮ | আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:৪১

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বয় প্রয়োজন বলে মনে করেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থ পাচারের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ট্রেড বেইজড মানি লন্ডারিং। এ জাতীয় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে দুদক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পারস্পরিক নিবিড় সমন্বয় প্রয়োজন।

কমিশন এরইমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরে অভিপ্রায় ব্যক্ত করে পত্র দিয়েছে উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কর্মকৌশল বাস্তবায়ন করা গেলে অর্থপাচারের লাগাম টেনে ধরা যেতে পারে।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের আবাসিক আইন উপদেষ্টা এরিক অপেঙ্গা দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে তার কার্যালয়ে এক বৈঠকে মিলিত হন। এ সময় দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট ও এফবিআইয়ের সঙ্গে দুদকের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এসব প্রতিষ্ঠান এ দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ প্রত্যার্পণ ও কমিশনের নিজস্ব সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে যথেষ্ট সহযোগিতা করছে।

তিনি বলেন, দুদক এফবিআইয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। কমিশন প্রত্যাশা করে- দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত বিশেষ করে মানি লন্ডারিং, সাইবার ক্রাইম, আর্থিক লেনদেনের তদন্তের ক্ষেত্রে ফরেনসিক এনালআইসিস, ট্রেড বেইজড মানি লন্ডারিং, অপরাধীদের জিজ্ঞাসাবাদের কৌশল, সম্পদ পুনরুদ্ধার, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সংঘটিত আর্থিক ক্রাইম, মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্স, তথ্য বিনিময়সহ বিভিন্ন ইস্যুতে মার্কিন জাস্টিস ডিপার্টেমেন্টের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বিকশিত হবে।

তিনি আরও বলেন, শুধু প্রশিক্ষণ নিলে হবে না, প্রতিটি প্রশিক্ষণ হতে হবে তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক জ্ঞানের সংমিশ্রণ। দেশীয় ও বিদেশি জ্ঞানের সংমিশ্রণে যে প্রশিক্ষণ কর্মকর্তারা গ্রহণ করবেন, তার বাস্তব প্রয়োগ নিজ কর্মে ঘটাতে হবে। বাংলাদেশে সংঘটিত দুর্নীতি সংক্রান্ত অপরাধের সঙ্গে মার্কিনযুক্ত রাষ্ট্রের যেসব অপরাধের মিল রয়েছে, সেসব বিষয়ে কমিশনের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, প্রশিক্ষণ মানেই বিদেশে যেতে হবে কমিশন এমনটা মনে করে না। প্রয়োজনে এসব বিষয়ে এফবিআই অথবা জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের প্রথিতযশা রিসোর্স ব্যক্তিরা বাংলাদেশে এসে কমিশনের কমকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিতে পারেন অথবা আঞ্চলিক পর্যায়ে যেমন সিঙ্গাপুর, মালোয়েশিয় কিংবা ইন্দোনেশিয়ায় সমন্বিতভাবে এসব প্রশিক্ষণ হতে পারে।

তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন এখন প্রতিটি অনুসন্ধান বা তদন্ত রিপোর্টের সঙ্গে নোট বুক অব ইনকোয়ারি সংযোজন বাধ্যতামূলক করেছে। ফলে কমিশন রিপোর্ট দেখেই তদন্তের গতি-প্রকৃতি অনুধাবন করতে পারছে। এতে কমিশনের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি প্রতিরোধ করাও ক্রমান্বয়ে সহজ হচ্ছে।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কেউ যদি আমেরিকায় অর্থ উপার্জন করে গাড়ি-বাড়িসহ সম্পদ গড়ে তোলেন, সে বিষয়ে দুদকের কোনো মাথা ব্যথা নেই। তবে বাংলাদেশ থেকে কেউ যদি অবৈধভাবে অর্থপাচার করে আমেরিকা বা পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে সম্পদ তৈরি করেন সেটা দুদক আইনের আওতাভুক্ত অপরাধ। এসব অর্থপাচারকারীদের আইন-আমলে আনতে তিনি এফবিআইসহ সব দেশের এ জাতীয় সংস্থার সহযোগিতা কামনা করেন।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ