‘এডিসের লার্ভা পেল আর ছাড় নয়, জরিমানা হবে’
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:৪৪ | আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৫:৪৫
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস এবং পরিচ্ছন্নতার জন্য চিরুনি অভিযানের প্রথম পর্যায় ছিল সেমিফাইনাল। আজ থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ের চিরুনি অভিযান শুরু হলো, এবার হবে ফাইনাল। প্রথম পর্যায়ে বাসা-বাড়িতে এডিসের লার্ভা পেলেও ছাড় দেওয়া হয়েছে, এবার আর কোনো ছাড় নয়, জরিমানা হবে।
আজ রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় দফার চিরুনি অভিযানের উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন। রাজধানীর মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ২ নম্বর গেট থেকে মশার লার্ভা ধ্বংসের এ অভিযান শুরু হয়।
মেয়র বলেন, প্রথম পর্যায়ের অভিযানের সময় যেসব বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছিল সেসব বাড়িতে স্টিকার সাঁটিয়ে দিয়ে তাদের সাবধান করা হয়েছিল। তখন আমরা বলেছিলাম, এসব বাড়িতে আমরা আবার আসব। আর তখন যদি লার্ভা বা জমে থাকা পানি অথবা অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ পাওয়া যায় তা হলে জরিমানা করব।
তিনি বলেন, ‘আমরা এ শহরটাকে পরিচ্ছন্ন রাখতে চাই, কিন্তু এত বড় পরিসরে সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে তা করা সম্ভব নয়। এ জন্য প্রতিটি নাগরিকের সহযোগিতা প্রয়োজন। জনগণ একটু সচেতন হলেই এটা করা সম্ভব হবে। এ চিরুনি অভিযানে আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি ভাগে ভাগ করে পরিচ্ছন্নতা এবং এইডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে কাজ করব। এ ছাড়া ওই ১০ ভাগকে আবার ১০টি সাব ভাগে ভাগ করে মোট ৩৬০টি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে।’
এ বছর ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এইডিস মশার উৎস ধ্বংস করতে গত ২০ আগস্ট চিরুনি অভিযান শুরু করে ডিএনসিসি। অভিযানে এ পর্যন্ত ৩৬টি ওয়ার্ডের ১ লাখ ২১ হাজার ৫৬০টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১ হাজার ৯৫৭টি বাড়ি ও স্থাপনায় এইডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৬৭ হাজার ৩০৬টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার বংশবিস্তারের উপযোগী স্থান বা জমে থাকা পানি পায় ডিএনসিসি।
অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মঞ্জুর হোসেন, স্থানীয় কাউন্সিলর জামাল মোস্তফা, মোবাশ্বর হোসেন, রজব উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ