আজকের শিরোনাম :

আজ খুশির ঈদ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০১৮, ১০:০৪ | আপডেট : ১৬ জুন ২০১৮, ১৩:৫১

ঢাকা, ১৬ জুন, এবিনিউজ : এক মাস সিয়াম সাধনার পর খুশি নিয়ে মুসলিম উম্মার ঘরে আনন্দের ঝর্ণাধারায় সমাগত ঈদ। গতকাল শুক্রবার শাওয়ালের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আজ সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনায় উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদ উল ফিতর।

ঈদ উদযাপন করতে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ সাধ্যমতো প্রস্তুতি নিয়েছেন। নাড়ির টানে শহর নগর ছেড়ে অধিকাংশ মানুষ ছুটে গেছেন প্রিয়জনের কাছে। প্রিয়জনের মুখের হাসি দেখাও যেন আরেক ঈদ।

নামাজের পরপরই ঈদগাহগুলোতে চিরচেনা এবং কাঙ্ক্ষিত দৃশ্যের অবতারণা হয়। প্রত্যেক মুসলমান একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। শ্রেণি-ধর্ম-বর্ণ-বয়স নির্বিশেষে হবে আলিঙ্গন। ভ্রাতৃত্বের বন্ধনের এ এক মধুর বহিঃপ্রকাশ

সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, সিঙ্গাপুরসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে গতকাল ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। তার সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশেও বিভিন্ন গ্রামে ঈদ উদযাপিত হয়।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে দেশবাসীর সুখ-সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করেছেন। পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহ’র ঐক্য, বিশ্বভ্রাতৃত্ব, সুখ-সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানান এবং পরস্পরের সঙ্গে মিলে-মিশে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেয়ার আহ্বান জানান।

এদিকে ফাঁকা ঢাকায় নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গুরুত্বপূর্ণ স্থান মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

ঈদের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ বিনোদন কেন্দ্রে ঘোরাঘুরি। রাজধানী ঢাকার প্রধান প্রধান বিনোদন কেন্দ্র তাদের প্রস্তুতি শেষ করেছে।

এবার রাজধানীতে মোট ৪০৯টি স্থানে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ভিন্ন ভিন্ন ভাবে এসব জামাতের ব্যবস্থা করবে। এরই মধ্যে সবগুলো স্থানে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে দুই সিটি করপোরেশন।

ঈদের একটি বড় অনুষঙ্গ নতুন পোশাক। মাসজুড়ে বা অনেকে এর আগে থেকেই এর প্রস্তুতি শুরু করেন। এ বছর রাজধানীসহ বিপণিবিতানগুলোতে প্রতিবারের মতোই ভিড় দেখা গেছে। ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ অবশ্য মন্দাভাবের কথা বলেছেন। তারপরও কেনাকাটার যে কমতি ছিল না, রাজধানী বা দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর রাস্তার তীব্র জট বা বিপণিবিতানের কষ্ট-দেয়া ভিড় তার প্রমাণ। নতুন কেনা পোশাক-জুতা বা অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে শিশুদের আনন্দই বেশি। বড়রাও কম যান না। পোশাকগুলো ইতোমধ্যেই হয়তো দেরাজ খুলে অনেকবারই দেখা হয়ে গেছে।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ