আজ উড়াল দেবে ড্রিমলাইনার ‘গাঙচিল’

আজ বিকালে আবুধাবির উদ্দেশে উড়াল দিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের তৃতীয় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘গাঙচিল’। 

আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। 

পরে বিকাল সাড়ে ৫টায় (বিজি-০২৭) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আকাশে উড়বে গাঙচিল। 

জানা গেছে, ২৫ জুলাই দেশে আসে ড্রিমলাইনার গাঙচিল। কোনো রকম যাত্রাবিরতি ছাড়াই সিয়াটল থেকে সরাসরি তা ঢাকায় এসে অবতরণ করে। এর মধ্যে দিয়ে বিমানবহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫টি। 

বিমানের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ফারহাত হাসান জামিল বলেন, বৃহস্পতিবার তৃতীয় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘গাঙচিল’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিকালে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে আবুধাবি যাওয়ার মধ্য দিয়ে এ উড়োজাহাজের বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হবে। 

গাঙচিলের আসন সংখ্যা ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত রিক্লাইন্ড সুবিধা এবং সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা আরামে ভ্রমণ করতে পারবেন। বিমানটিতে যাত্রীরা অন্য আধুনিক সুবিধারসহ ইন্টারনেট ও ফোন কলের সুবিধা পাবেন।

বিমানের চতুর্থ বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসবে। রাজহংস যোগ হলে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৬-তে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং এর সঙ্গে ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য চুক্তি করে। এরমধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর, দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং চারটি ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৮ উড়োজাহাজ কেনার কথা ছিল। চুক্তির আওতায় ধাপে ধাপে চারটি নতুন বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, দুটি নতুন বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং তিনটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানকে সরবরাহ করে বোয়িং। ১২ সেপ্টেম্বর চুক্তির আওতার সর্বশেষ ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৮ বিমানবহরে যোগ হবে।

বিমানের বহরে থাকা ১৫টি উড়োজাহজের মধ্যে ৯টি নিজস্ব, বাকি উড়োজাহাজগুলো বিভিন্ন মেয়াদে লিজে সংগ্রহ করা। বিমানের ১০টি বোয়িং উড়োজাহাজের নাম রাখা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পছন্দে। এগুলো হলো- পালকি, অরুণ আলো, আকাশ প্রদীপ, রাঙা প্রভাত, মেঘদূত, ময়ূরপঙ্খী, আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস।

এবিএন/সাদিক/জসিম