আজকের শিরোনাম :

নির্ধারিত স্থান ফাঁকা রেখে রাস্তায় কোরবানি নগরবাসীর

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০১৯, ১৪:২৩ | আপডেট : ১২ আগস্ট ২০১৯, ১৪:৩১

রাজধানী ঢাকার নগরবাসী এখনো সচেতন হননি। গতবারের মতো এবারও রাস্তায় পশু কোরবানি দেয়া হয়েছে। ফাঁকা পড়ে আছে সিটি করপোরেশনের নির্ধারণ করা পশু কোরবানির স্থান। সেখানে দেখা যায়নি কাউকেই। রাস্তাঘাটে পশু কোরবানির ফলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে ঈদুল আজহার নামাজের পর রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকায়  এমন চিত্র দেখা গেছে।

ফকিরাপুল পানির ট্যাংকের পাশে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জনগণের জন্য পশু কোরবানির স্থান নির্ধারণ করেন স্থানীয় কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ। সেখানে সামিয়ানা টাঙানো রয়েছে। কোরবানির এই নির্দিষ্ট স্থানে ঈদুল আজহার নামাজের পর থেকে এলাকার কাউকেই পশু নিয়ে আসতে দেখা যায়নি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পশু কোরবানি দেয়া হয়নি সেখানে। কোরবানির জন্য সংশ্লিষ্ট কাউকেই দেখা যায়নি। সকাল ৯টার দিকে একটি গরু নিয়ে আসা হলেও পরে পাশে গলিতে নিয়ে সেটি কোরবানি দেয়া হয়।

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। তবে রাজধানীর বেশকিছু এলাকায় সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি হয়েছে। কোরবানির পরপরই দ্রুত বর্জ্য অপসারণ হয়েছে। নগরীর কিছু কিছু এলাকায় রাস্তায় কোরবানির ফলে বর্জ্যের দুর্গন্ধে চলাফেরা করা মুশকিল হয়ে পড়েছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ফকিরাপুল এলাকায় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দিষ্ট কোরবানির স্থান খালি পড়ে থাকলেও আশপাশে উন্মুক্ত স্থানে ও রাস্তাঘাটে পশু কোরবানি দেয় এলাকাবাসী। নির্দিষ্ট স্থানের একেবারেই কাছে পানির ট্যাংকের মুখে গরু জবাই করে রাখা হয়েছে। পশুর রক্ত ও বর্জ্য এসে পড়েছে রাস্তাঘাটে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী। দ্রুত বর্জ্য অপসারণ করা না হলে পরিবেশ দূষিত হবে। ফকিরাপুল, নয়াপল্টন, পুরানা পল্টন এলাকার বাসিন্দারা অলিগলিতে কোরবানি দিয়েছেন।

রাস্তায় পশু জবাই করেছেন কেন, জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফকিরাপুলের এক বাসিন্দা জানান, নিজেদের বাসার সামনে কোরবানি করলে সুবিধা। এক জায়গায় সবকিছু শেষ করা যায়। নির্দিষ্ট স্থানে জবাই করার পর সেখান থেকে মাংস বাসায় আনা কষ্টকর।

উন্মুক্ত স্থানে কিংবা রাস্তাঘাটে নয়, সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দিতে অনুরোধ জানিয়েছে সরকার। কিন্তু নগরবাসীর অনেকেই এ অনুরোধে কর্ণপাত করেননি। এ ব্যাপারে অনেকটা উদাসীন নগরবাসী। তাদের মধ্যে সচেতনতার অভাব লক্ষ করা গেছে।

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করে সিটি করপোরেশন এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সমন্বয়ে তদারকির করলে রাস্তায় পশু কোরবানি বন্ধ করা সম্ভব বলে মনে করেন ভুক্তভোগীরা।

রাজধানীতে ঘুরে দেখা গেছে, শাহবাগ থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি পর্যন্ত সড়কের ওপর পশু কোরবানি করা হয়েছে। কেউ চামড়া ছাড়াচ্ছেন, কেউ মাংস কাটছেন।

সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে না গিয়ে সড়কে যারা কোরবানি দিচ্ছেন, তারা নিজ দায়িত্বে কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করবেন বলে জানিয়েছেন। যেহেতু তারা তাদের বাসার সামনে কোরবানি করছেন এখান থেকে দুর্গন্ধ এলে তাদেরই সমস্যা হবে। তাই তারা বর্জ্য পরিষ্কার করবেন।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ