আজকের শিরোনাম :

ছেলেধরা গুজবের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর হুঁশিয়ারি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০১৯, ১১:১২ | আপডেট : ২৩ জুলাই ২০১৯, ১১:১৯

ছেলেধরা সন্দেহে সারাদেশে গণপিটুনিতে হতাহতের ঘটনায় কঠোর হুঁশিয়ারি জারি করেছে সরকার।

সরকারের পক্ষ থেকে সোমবার এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একটি স্বার্থান্বেষী মহল গুজব ছড়িয়ে ছেলেধরা সন্দেহে নিরীহ মানুষ পিটিয়ে হতাহত করা সংক্রান্ত খবরের প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত যে কোনো ধরনের গুজব ছড়ানো ও আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া দেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থী এবং গুরুতর দন্ডনীয় অপরাধ। কোনো বিষয়ে কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে নিজের হাতে আইন তুলে না নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে ৯৯৯ নম্বরে কল করে পুলিশের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এদিকে দুদিন আগে রাজধানী ঢাকা বাড্ডা এলকায় ছেলে ধরা সন্দেহে এক নারীকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে। আদালত তাদের ৩ জনকে চারদিনের পুলিশ রিমান্ডে দিয়েছে। পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধিমান চন্দ্র মন্ডল চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সারাদেশে থানাসহ সব পুলিশ অফিসে অভ্যন্তরীণ সার্কুলার জারি করেছে। সব পুলিশ ইউনিটকে টহল জোরদার এবং সব বিদ্যালয়ের সামনে প্রহরা জোরদার ও স্কুল শিক্ষক, সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারি ও অভিভাবকদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করার পরামর্শ দেয়া হয়। এতে স্কুল ছুটির পর ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের সঙ্গে বাড়ি ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিতে স্কুল কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তর থেকে স্কুল চত্বর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টিরও আহবান জানানো হয়েছে। এর আগে ২০ জুলাই পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ছেলে ধরা গুজবের বিরুদ্ধে জনগণকে সতর্ক করে দিয়ে একটি বিবৃতি দেয়া হয়। 

এতে বলা হয়, এ ধরনের গুজবের ঘটনায় সন্দেহভাজন কাউকে ধরে পুলিশের হাতে না দিয়ে পিটিয়ে হতাহত করা আইনের দৃষ্টিতে মারাত্মক অপরাধ উল্লেখ করে এ ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়।
খবর বাসস

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ