‘ঢাকাকে জলাবদ্ধতা থেকে রাতারাতি মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, অল্প বৃষ্টিতেই ঢাকা শহরে জলাবদ্ধতা থেকে রাতারাতি মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ গত ৪০ থেকে ৫০ বছরে ঢাকা শহরকে দূষিত করা হয়েছে। 

আজ রবিবার (২১ জুলাই) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীসহ ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণ ও দখল রোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য গৃহীত মাস্টারপ্ল্যান অবহিতকরণে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

আধাঘণ্টা বৃষ্টি হলেই ঢাকা শহরের অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়-এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে উত্তরোত্তর আমাদের উন্নতি হচ্ছে। তবে একেবারেই শেষ হয়ে যায়নি। সচিবালয়েও আমাদের হাঁটু পরিমাণ পানি হতো। শান্তিগরে রিকশা বা গাড়ি সবগুলোই ডুবে যেত। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটেছে।’

তিনি বলেন, ‘বৃষ্টি হলে গুলশান, তেজগাঁয়ের মতো জায়গাতে আমরা গাড়ি চলাতে পারতাম না। এসব ক্ষেত্রে দৃশ্যমান পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের উল্লেখযোগ্য অর্জন রয়েছে। কিন্তু এখনো লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি।’

ঢাকা শহর গত ৪০-৫০ বছরে দূষিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী বলেন, ‘ওই সময়ে অপরিকল্পিত খাল, কালভার্ট, বড়িঘর নির্মাণ করা হয়েছে। গুলশানের লেখ দখল করা হয়েছে। এখন এগুলো কি একদিনের মধ্যে স্থানীয় সরকার বা কোনো মন্ত্রণালয়ের ক্ষেত্রে উইড্রো করে ফেলা সম্ভব?

তিনি বলেন, ‘অপরিকল্পিতভাবে বিজিএমইএ (পোশাকশিল্পের মালিকদের শীর্ষ সংগঠন) ভবন নির্মাণ করা হয়েছিলে। এটা ধ্বংস করতে আমাদের দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া অতিক্রম করতে হয়েছে। সরকার সেখানে নমনীয় ভূমিকা পালন করেনি। আমাদের এ বাস্তবতাটা মানতে হবে।’

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মতিঝিল, শান্তিনগরের খালগুলো ভরাট করা হয়েছে। ভরাট করে সব ব্লক করে দেয়া হয়েছে। এখন আমাদের সেখানে কাজ করতে হবে। বক্স কালভার্ট কোনো ইঞ্জিনিয়ারিং পদ্ধতিতে করা হয়নি। থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ওপেন কালভার্ট করছে। আর আমাদের এখানে বক্স কালভার্ট করে কোটি কোটি টন বালি আর ময়লা দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। এখন ওভার নাইটে এগুলো হবে না।’

তিনি বলেন, এসব বিষয়ে ইতোমধ্যে যথেষ্ট অর্জন হয়েছে। সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করছি। আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারব।

এবিএন/সাদিক/জসিম