আজকের শিরোনাম :

যমুনার পানি বিপদসীমার ৯৮, পদ্মার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপরে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০১৯, ০৯:২০

দেশের প্রধান দুই নদী যমুনা ও পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় ১৭ সেমি বেড়ে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ গেজ স্টেশন পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এ তথ্য জানিয়েছে। বড় দুই নদী পদ্মা ও যমুনাসহ অভ্যন্তরীণ নদীগুলোতে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বন্যার্ত মানুষেরা উঁচু বাঁধ, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিচ্ছে। ইতোমধ্যে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

সিরাজগঞ্জ জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারি প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্টে যমুনার পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১৪.৩৩ মিটার। যা বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ওপরে (ডেঞ্জার লেভেল ১৩.৩৫)। গত ২৪ ঘন্টায় ১৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে কাজিপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ১৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এদিনে পানি বৃদ্ধির অনেকটা কমেছে। শুক্রবার (১৯ জুন) সকাল পর্যন্ত পানি বাড়লেও বিকেল থেকে কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা যায়, বন্যায় জেলার ৫টি উপজেলার ৩৬টি ইউনিয়নের ২ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে ৩৫৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই পেয়েছে প্রায় সাড়ে ১১ হাজার বন্যার্ত মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৪টি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও ৫৫ হাজার ৭২৪টি পরিবার। এদের মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ৯৫৯টি। ১ হাজার ৩৪৭টি বাড়িঘর সম্পূর্ণ এবং ২৭ হাজার ৬৩৩ টি বাড়িঘরের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। ১৬৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে আরও ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

এদিকে পদ্মার পানি বাড়তে থাকায় রাজাবাড়ি জেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও ফসলি জমি প্লাবিত হচ্ছে। পদ্মার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে জেলার পাংশার হাবাসপুর, কালুখালীর রতনদিয়া, রাজবাড়ী সদরের মিজানপুর, গোদার বাজার, মৌলভী ঘাট, বরাট, গোয়ালন্দের ছোট ভাকলা, দেবগ্রাম ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নের বেশ কিছু স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে । ভাঙন কবলিত ওই সবস্থানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ করছে পাউবো।

রাজবাড়ীর পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, পদ্মার পানি দৌলতদিয়া গেজ স্টেশন পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া অন্য দুই পয়েন্টে এখনও বিপদসীমার নিচে রয়েছে।

জেলাপ্রশাসন এরই মধ্যে বন্যাদুর্গত অঞ্চলে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ