‘বন্যাকবলিত এলাকার জন্য সায়েমা ওয়াজেদের নকশায় নৌকা তৈরি’
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০১৯, ১৫:৩৪
বন্যাকবলিত এলাকার মানুষকে ঘরসহ নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে নৌকা তৈরির প্রকল্প হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
বাংলাদেশের অটিজম-বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এই নৌকার নকশা তৈরি করেছেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় দিনের প্রথম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।
এনামুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ আমাদের একটি প্রস্তাব দিয়েছেন, একটি ডিজাইন দিয়েছেন, এস্টিমেট দিয়েছেন ১০ লাখ টাকার একটি নৌকা। যে নৌকায় বন্যাকবলিত জনগণ তাদের মালামাল, এমনকি ঘর পর্যন্ত অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতে পারবেন। আমরা সেটারও প্রকল্প গ্রহণ করছি।’
ডিসিরা দুর্যোগ, বন্যা-সাইক্লোনে কাজ করতে স্পিডবোটের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সংখ্যা বাড়ানো এবং সারা বছর জ্বালানি সরবরাহের প্রস্তাব করেছে। বন্যার সময় বন্যা কবলিত জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানোর জন্য নৌকার প্রস্তাব দিয়েছেন, আমরা নৌকার জন্য আগে এক লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলাম। ওনারা (ডিসিরা) ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ চেয়েছেন। আমরা সেই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছি।’
দেশে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এনামুর রহমান বলেন, প্রথমে ১০টি জেলা আক্রান্ত ছিল, এর দুদিন পর ১৫টি এবং সোমবার পর্যন্ত ২০টি জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। বন্যাকবলিত প্রত্যেক জেলায় এ পর্যন্ত ৭০০ মেট্রিকটন চাল, ১১ ধরনের ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। প্রথমে ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়, সোমবার আরও ৩৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
গবাদি পশুর খাদ্যের জন্যও সোমবার প্রত্যেক জেলায় এক লাখ করে টাকা এবং শিশুদের খাদ্যের জন্য এক লাখ করে টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রত্যেক জেলায় ৫শ’টি করে তাঁবু পাঠানো হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত তেমন আশঙ্কাজনক অবস্থা নেই। আবহাওয়াবিদদের মতে বৃষ্টিপাত আরও হতে পারে। চীন, নেপাল ও ভারতে বৃষ্টি হলে এবং ব্রক্ষ্মপুত্র ও যমুনার পানি বৃদ্ধি পেলে আমাদের আরেকটু অবনতি হতে পারে। আমরা আগাম প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সামর্থ্য রয়েছে।
জেলা-উপজেলা থেকে ত্রাণ সরবরাহের ব্যাপারে ডিসিদের দেয়া প্রস্তাব প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এরই মধ্যে ৬৪ জেলায় ৬৬টি ত্রাণ গুদাম নির্মাণের কাজ শুরু করেছি, এগুলোর কাজ শেষ হলে আমরা জেলা প্রশাসকের অধীনে ত্রাণসামগ্রী জেলা পর্যায়ে রাখার ব্যবস্থা হবে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে প্রতিদিনই মানুষ প্রাণ হারায় জানিয়ে এনামুর রহমান বলেন, মৃত্যু নিরোধে বজ্রপাত নিরোধক টাওয়ার বসানোর জন্য ডিসিরা প্রস্তাব দিয়েছেন। তাদের প্রস্তাবের আগেই আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং কর্মশালাও করেছি। দেশের যে জায়গায় বজ্রপাতের আশঙ্কা বেশি সেখানে আগে টাওয়ার বসবে।
মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব শাহ কামাল বলেন, বন্যা প্রবণ ৩৫টি জেলায় সায়মা ওয়াজেদের প্রস্তাবিত নৌকার একটি করে দেওয়া হবে। যে নৌকা হবে বেশ বড় এবং এতে ঘরসহ মানুষ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ওঠানো যাবে।
খবর বাসস এবিএন/সাদিক/জসিম
খবর বাসস এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ