তিস্তা-ধরলার পানি বিপদসীমার ওপরে, ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০১৯, ১২:০০ | আপডেট : ১২ জুলাই ২০১৯, ১২:১০
টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে লালমনিরহাট জেলার ৫ উপজেলায় প্রায় ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় নতুন করে দেখা দিয়েছে বন্যা। এ ছাড়া জেলার আদিতমারী মহিষখোচা ও হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারীর ধুবনী এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ পানির তোড়ে ভেঙে গেছে।
তিস্তা এমন ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করায় চরাঞ্চলে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান।
আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় দোয়ানি পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির পরিমাণ ৫২.৮৫ সেন্টিমিটার।
এলাকাবাসী জানান, উজানের পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে গত ৫ দিনের ভারি বৃষ্টি। এতে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার তিস্তা ও ধরলা অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। জেলার ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। চরাঞ্চলে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হয়ে উঠেছে নৌকা বা ভেলা। ধেয়ে আসা পানির স্রোতে গবাদি পশু-পাখি নিয়ে বিপদে পড়েছেন চরাঞ্চলের খামারি ও চাষিরা।
গত দুই দিন ধরে উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারি বৃষ্টিতে সৃষ্ট এ বন্যায় জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, সিংগিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা, কুলাঘাট ও মোগলহাট ইউনিয়নের তিস্তা ও ধরলার নদীর চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এসব ইউনিয়নের প্রায় ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পানিবন্দি পরিবারগুলো এখনো সরকারিভাবে কোনো ত্রাণ পায়নি বলেও জানান স্থানীয়রা।
তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, তিস্তার পানিপ্রবাহ শুক্রবার সকাল ৬টায় বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা চর এলাকার লোকজনকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।
এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ