আজকের শিরোনাম :

২৮ ঘণ্টার দুর্ভোগের পর রাজশাহীর পথে ট্রেন চলাচল শুরু

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০১৯, ০০:১৭

২৮ ঘণ্টা পর রাজশাহীর সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) রাত পৌনে ১০ টার দিকে সর্বশেষ বগিটি তুলে নিয়ে উদ্ধার অভিযোগ শেষ করে রেল কর্তৃপক্ষ। এরপর প্রায় পৌনে একঘণ্টা মেরামতের কাজ করে লাইন ট্রেন চলার উপযোগি করা হয় বলে জানিয়েছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলের প্রধান প্রকৌশলী আফজাল হোসেন।

তিনি বলেন, বৃষ্টি ও রাতের কারণে দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় পুরোপুরি লাইন মেরামত করা সম্ভাব হয়নি। শুক্রবার সকাল থেকে আবার মেরাতম কাজ শুরু হবে। এর আগ পর্যন্ত এ এলাকায় সর্বচ্চ ১০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচলের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

প্রধান প্রকৌশলী আরও বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়া রাজশাহীগামী ট্রেন ছেড়েছে। আর রাজশাহীতে ঢাকার উদেশ্যে পদ্মা এক্সপ্রেস ছেড়ে যাবে রাত সাড়ে ১১টায় এবং ধুমকেতু এক্সপ্রেস রাত ২টায়। এই দুইটি ট্রেনের মধ্যে পদ্মা এক্সপ্রেসের রাজশাহী থেকে ছাড়ার নির্ধারিত সময় ছিল বিকেল ৪টায় এবং ধুমকেতু রাত ১১টা ২০ মিনিটে।

বুধবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তেলবাহী ট্রেনের ৮টি বগি লাইনচ্যুত। এর পর রাজশাহীর সঙ্গে রেল যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার পর রাজশাহী থেকে বিভিন্ন রুচে ১০টি আন্তনগরসহ সবগুলো লোকাল ট্রেনের যাত্রা বাতিল করে রেল কর্তৃপক্ষ।

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক আবদুল করিম জানান, যেসব ট্রেনের যাত্রা বাতিল হয়েছে তার যাত্রীদের টিকিটের মূল্য ফেরত দেয়া হয়েছে। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তারা প্রায় সাত হাজার যাত্রীকে ২৬ লাখ টাকারও বেশি ফেরত দিয়েছেন।

এদিকে, সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক খন্দকার শহীদুল ইসলাম বলেছিলেন, লাইন সংস্কার কাজে নিয়জিত প্রকৌশলীর গাফলতির কারণে রাজশাহীতে তেলবাহী ট্রেন দুর্ঘটনা কবলে পড়ে।

প্রাথমিক তথ্যের বরাদ দিয়ে খন্দকার শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, লাইন সংস্কার চলছিল। পুরাতন স্পীপার পরিবর্তন ও পাথর দিচ্ছিল। কিন্তু যারা সংস্কার কাজ করছেন তারা স্লীপারের সঙ্গে লাইন আটকানো কয়েকটি পিন (ডগস্পাইক) খুলে রেখেছিল। পাথর ফেলের কারণে সেটি ঢেকে যায়। এ কারণে সেটি কারও চোখে না পড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তিনি বলেন, তেলবাহী ৩১টি বগি নিয়ে ট্রেনটি যাচ্ছিল। প্রতিটি বগিতে রয়েছে ৫০ হাজার লিটার তেল। প্রতি বগির ওজন ৫০ টন। পিন খোলা থাকায় অতিরিক্ত চাপে লাইন সরে যাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।

তেলবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুতের ঘটনায় সংস্কার কাজে নিয়োজিত সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই সাথে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিভাগীয় ট্রান্সপোর্ট কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনকে।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ