আজকের শিরোনাম :

দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে দগ্ধ নরসিংদীর ফুলন মারা গেছেন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০১৯, ১০:৫২ | আপডেট : ২৬ জুন ২০১৯, ১০:৫৭

১৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে দগ্ধ নরসিংদীর কলেজছাত্রী ফুলন রানী বর্মণ (২২)। 

আজ বুধবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বলেন, আজ সকাল ৬টায় ফুলন রানী মারা গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

ফুলন নরসিংদী পৌর এলাকার বীরপুর মহল্লার যোগেন্দ্র চন্দ্র বর্মণের মেয়ে। গত বছর নরসিংদীর উদয়ন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন তিনি। তবে এর পর তিনি আর কোথাও ভর্তি হননি।

গত ১৩ জুন রাতে বাড়ির কাছেই ফুলনের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। সেই রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, ফুলনের শরীরের ২০ ভাগ পুড়ে গেছে।

পরিবারের সদস্যরা সে সময় বলেছিলেন, এক আত্মীয়ের সঙ্গে সেদিন রাতে দোকানে কেক কিনতে গিয়েছিলেন ফুলন। কেক কিনে দিয়ে ওই আত্মীয় তাকে একা বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে চলে যান। বাড়ির কাছে পৌঁছালে কয়েকজন মুখ চেপে ধরে ফুলনকে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। পরে তার চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন গিয়ে তাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পায়।

এ ঘটনায় ফুলনের বাবা যোগেন্দ্র বর্মণ নরসিংদী সদর মডেল থানায় মামলা করেন। তদন্তে নেমে গোয়েন্দা পুলিশ ফুলনের ফুফাতো ভাই ভবতোষ এবং তার দুই বন্ধু সঞ্জীব ও রাজু সূত্রধর ও আনন্দ বর্মণকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার রাজু গত শুক্রবার নরসিংদীর বিচারিক হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে রাজুর দেওয়া বক্তব্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। 

তিনি বলেন, ফুলনের বাবার সঙ্গে প্রতিবেশী সুখলাল ও হীরালালের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে গত ১১ জুন ভবতোষ ও ফুলনের মায়ের সঙ্গে সুখলালের ঝগড়া হয়। এর জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেন ভবতোষ। ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাজু ও আনন্দকে নিয়ে সে ফুলনের গায়ে আগুন দেওয়ার পরিকল্পনা করে। সেদিন রাতে দোকান থেকে ফেরার পথে ফুলনের মাথা ও শরীরে কেরোসিন ঢেলে গায়ে আগুন দেওয়া হয়।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ