পুরনো কাঠামো ও পুরনো চিন্তার মধ্যেই বাজেট : সিপিডি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ জুন ২০১৮, ১৮:৪০
ঢাকা, ০৮ জুন, এবিনিউজ : ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পুরনো কাঠামো এবং চিন্তার উপর ভিত্তি করে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
আজ শুক্রবার রাজধানীর গুলশান-২ লেকশোর হোটেলে সিপিডি আয়োজিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট-পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বিনিয়োগের লক্ষমাত্রা নিয়েও সংশয় আছে। চলতি অর্থবছর যা ছিল আগামী অর্থবছরেও তাই রয়েছে। তাই এক কথায় এ বাজেটকে স্থিতাবস্থার বাজেট বলে অবিহিত করা যায়। পুরনো কাঠামো ও পুরনো চিন্তার মধ্যেই বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। তাছাড়া আগামী অর্থবছরের বাজেটে করপোরেট কর কমানো হয়েছে। এক্ষেত্রে মালিকপক্ষেরই বেশি লাভ হবে।
তিনি বলেন, নৈরাজ্য বন্ধ না করে ব্যাংক ব্যবসায়ীদের চাপে কর্পোরেট করহার কমানোর সিদ্ধান্ত অনিয়ম উসকে দেবে। কেন এ কর কমানো হয়েছে তার পেছনে যৌক্তিক ও প্রশাসনিক কোনো কারণ দেখছি না। ব্যাংকিং খাতে নৈরাজ্যের মধ্যে এ ধরনের করপোরেট কর ছাড় দেয়া ঠিক হয়নি। জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ বর্তমান বিানয়োগের চেয়ে ১১৭ হাজার কোটি টাকা বাড়াতে হবে, একই সঙ্গে সরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে বর্তমান সময়ের চেয়ে ৩০ হাজার কোটি টাকা। পুঁজির উৎপাদনশীলতাও বাড়াতে হবে। এটি বাস্তবে করা অনেক কঠিন, এজন্য জিডিপির এই প্রবৃদ্ধি নিয়ে গভীর সংশয় রয়েছে। চলতি ২০১৭-১৮ বাজেটে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। এর আগের বছরে (২০১৬-১৭) জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৭ দশমিক ২ শতাংশ। সিপিডি সম্মানিত ফেলো বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য কী পরিমাণ অর্থ খরচ হচ্ছে সেরকম কোনো আর্থিক মূল্যায়ন করা হয়নি। তাছাড়া সঞ্চয়পত্রের ওপর চাপ কমিয়ে ব্যাংকিং খাতকে চাঙ্গা করা উচিত ছিল। কিন্তু এই ঘোষিত বাজেটকে দেখে মনে হচ্ছে সঞ্চয়পত্রের দিকে ঝুঁকতে হবে। তিনি বলেন, সিপিডির দীর্ঘ দিনের দাবি ছিলো চাল আমদানি ওপর শুল্ক কমানো হবে, এবার এটা বাজেটে কমানো হয়েছে। সিপিডি খুশি হয়েছে। কৃষক এটাতে লাভবান হবে। ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ধরে রাখা কঠিন। গেল পাঁচ বছরে ভালো প্রবৃদ্ধি বাড়লেও আয়ের বৈষম্য বেড়েছে। গরিব মানুষের সঞ্চয় করার ক্ষমতা কমেছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ‘সমৃদ্ধ আগামী পথযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আাবুল মাল আবদুল মুহিত। চলতি অর্থ বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ আকার বেড়েছে প্রস্তাবিত বাজেটের।
এবিএন/মমিন/জসিম
তিনি বলেন, নৈরাজ্য বন্ধ না করে ব্যাংক ব্যবসায়ীদের চাপে কর্পোরেট করহার কমানোর সিদ্ধান্ত অনিয়ম উসকে দেবে। কেন এ কর কমানো হয়েছে তার পেছনে যৌক্তিক ও প্রশাসনিক কোনো কারণ দেখছি না। ব্যাংকিং খাতে নৈরাজ্যের মধ্যে এ ধরনের করপোরেট কর ছাড় দেয়া ঠিক হয়নি। জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রসঙ্গে দেবপ্রিয় বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ বর্তমান বিানয়োগের চেয়ে ১১৭ হাজার কোটি টাকা বাড়াতে হবে, একই সঙ্গে সরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে বর্তমান সময়ের চেয়ে ৩০ হাজার কোটি টাকা। পুঁজির উৎপাদনশীলতাও বাড়াতে হবে। এটি বাস্তবে করা অনেক কঠিন, এজন্য জিডিপির এই প্রবৃদ্ধি নিয়ে গভীর সংশয় রয়েছে। চলতি ২০১৭-১৮ বাজেটে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। এর আগের বছরে (২০১৬-১৭) জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৭ দশমিক ২ শতাংশ। সিপিডি সম্মানিত ফেলো বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য কী পরিমাণ অর্থ খরচ হচ্ছে সেরকম কোনো আর্থিক মূল্যায়ন করা হয়নি। তাছাড়া সঞ্চয়পত্রের ওপর চাপ কমিয়ে ব্যাংকিং খাতকে চাঙ্গা করা উচিত ছিল। কিন্তু এই ঘোষিত বাজেটকে দেখে মনে হচ্ছে সঞ্চয়পত্রের দিকে ঝুঁকতে হবে। তিনি বলেন, সিপিডির দীর্ঘ দিনের দাবি ছিলো চাল আমদানি ওপর শুল্ক কমানো হবে, এবার এটা বাজেটে কমানো হয়েছে। সিপিডি খুশি হয়েছে। কৃষক এটাতে লাভবান হবে। ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ধরে রাখা কঠিন। গেল পাঁচ বছরে ভালো প্রবৃদ্ধি বাড়লেও আয়ের বৈষম্য বেড়েছে। গরিব মানুষের সঞ্চয় করার ক্ষমতা কমেছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ‘সমৃদ্ধ আগামী পথযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আাবুল মাল আবদুল মুহিত। চলতি অর্থ বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ আকার বেড়েছে প্রস্তাবিত বাজেটের।
এবিএন/মমিন/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ