আজকের শিরোনাম :

ঝুঁকি নিয়েই ট্রেনের ছাদে ঈদযাত্রা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০১৯, ১৭:২৪

আজ সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল ঈদ। সে হিসেবে আজ ঈদের আগে বাড়ি ফেরার শেষ দিন। যারা গ্রামে গিয়ে স্বজনদের সাথে ঈদ করতে চান, আজ তাদের বাড়ি ফেরার তাড়া। তাই কমলাপুর রেল স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ট্রেনের ভেতরে জায়গা না পেয়ে ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই উঠেছেন ছাদে।

ট্রেন ছাড়ার অনেক আগে স্টেশনে আসলেও নির্ধারিত সময়ে যেতে পারছেন না যাত্রীরা। কারো ৩ ঘণ্টা, কারো ৪, কারো বা ৫, ৬, ৭ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কেউ কেউ প্লাটফর্মে অলস সময় পার করছেন। কেউবা তীর্থের কাকের মতো চেয়ে আছেন কখন আসবে ট্রেন।  উত্তরাঞ্চলের মানুষদের এমন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে নীলসাগর এক্সপ্রেস গত তিন দিনে একদিনও নির্ধারিত সময়ে স্টেশন ছাড়তে পারেনি।  ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে। আজও একই রকম বিলম্ব। এসব কারণে ঘরমুখো মানুষদের ভোগান্তি বেশি হয়েছে।

নীলসাগর এক্সপ্রেসের যাত্রী মো. সোবান বলেন, ‘টিকিট কেনার দিন লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম ৮ ঘণ্টা আর আজ বাড়ি যাওয়ার দিন স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকতে হলো ৭ ঘণ্টা।

লালমনিরহাটগামী ঈদ স্পেশাল লালমনি এক্সপ্রেস সকাল সোয়া ৯টায় ছাড়ার কথা থাকলেও সম্ভাব্য সময় ১টা ৫ মিনিটেও ছাড়তে পারেনি। রংপুরগামী ট্রেন রংপুর এক্সপ্রেস সকাল ৯টায় ছাড়ার কথা থাকলেও ট্রেনটি পৌঁছায় বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে।

রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী নাজমা বেগম বলেন, ‘নিজের আসনে বসতে পারলেও ভোগান্তি কম হচ্ছে না। গাদাগাদি করে মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। ভিতরে খুব গরম।’

উত্তরাঞ্চলের ট্রেনে বিপর্যয় হলেও ভোর থেকে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সিলেটগামী ট্রেন সময়মতো ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্টেশনের কর্মকর্তারা।

কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক জানান, দুপুর পর্যন্ত অন্তত ৩০টি ট্রেন ছেড়ে গেছে।

তিনি বলেন, ‘আজকে পাঁচটি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। এ বছর ঢাকাসহ পাঁচটি স্থান থেকে উত্তরাঞ্চলের টিকিট বিক্রি হয়েছে। স্বাভাবিক কারণেই যাত্রীদের চাপ একটু বেশি থাকায় এবং প্রতিটি স্টেশনে আগে যেখানে ২ থেকে ৩ মিনিট ট্রেন দাঁড়াতো সেখানে ৫ থেকে ৭ মিনিট সময় লাগছে। এ কারণেই বিপর্যয় হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ট্রেন আসার সঙ্গে সঙ্গেই ৩০ মিনিটের মধ্যে আমরা  কাজ সম্পন্ন করেই তাদের গন্তব্যে পাঠিয়ে দিচ্ছি। এ ব্যাপারে আমরা সর্বদা সচেষ্ট রয়েছি।’

সারা দিনে ৫০ হাজারেরও বেশি যাত্রী বিভিন্ন ট্রেনে বাড়ি ফিরছেন। গত কাল থেকে ট্রেনের ছাদে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে।

এ প্রসঙ্গে ম্যানেজার বলেন, ‘সোমবার (৩ জুন) থেকে গার্মেন্টসসহ সব অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্টেশনে যাত্রীদের চাপ বেড়ে গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ আমরা সবাই চেষ্টা করছি, যাত্রীদের ছাদে ওঠা থেকে বিরত রাখতে, কিন্তু এটা পারছি না।’

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ