জঙ্গিদের আইনি সহায়তা দেয়া হবে আত্মঘাতী : র্যাব ডিজি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ জুন ২০১৯, ১৪:৩৭
গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর গত তিন বছরে গ্রেফতার হওয়া ৫ শতাধিক জঙ্গির অর্ধেকের বেশি জামিনে বেরিয়ে গেছে বলে তথ্য দিয়েছেন র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমদ।
জঙ্গিদের কোনো আইনি সহায়তা না দিতে আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, তাদের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে আত্মঘাতী।
আজ রবিবার (২ জুন) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে ঈদ নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ।
র্যাব ডিজি বলেন, বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ে জঙ্গি হামলার ঝুঁকি রয়েছে। আমাদের নিজস্ব ইন্টেলিজেন্স ও অন্যান্য ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। যেকোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
জঙ্গি আসামিদের পক্ষে আইনি লড়াই না করার অনুরোধ জানিয়ে আইনজীবীদের প্রতি তিনি বলেন, চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, খুন, ধর্ষণসহ ৮-১০টির অপরাধের সঙ্গে জঙ্গি আসামিকে এক করলে হবে না। তাদের ক্ষেত্রে আইনি লড়াই না লড়তে আইনজীবীদের অনুরোধ করছি।
জঙ্গিদের কাছ থেকে কেউ মুক্ত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা জঙ্গিদের জামিনের জন্য লড়ছেন, তারা কিন্তু হামলার শিকার হতে পারেন। টাকা পেয়েই জঙ্গি আসামির জামিনের জন্য লড়া ঠিক নয়৷ আইনজীবীদের ওপরও জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছিল।
ঈদকালীন নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, রমজানের শুরু থেকেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলো ঘিরে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে বাড়ি ফিরতে এবং বাড়ি থেকে ঢাকায় ফিরতে র্যাব তৎপর রয়েছে।
ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বাস-ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনালে ১৫টি অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। সড়কে যানজট এবং দূর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে দেশজুড়ে ৪২টি স্থানে র্যাবের নজরদারি রয়েছে। তবে এবার সড়ক এবং নৌপথে ঈদযাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে, রেলপথে কিছুটা বিলম্ব রয়েছে।
২৪ ঘণ্টা সড়ক-নৌ এবং রেলপথে নজরদারি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঈদে বাড়িতে যাত্রা এখনও স্বস্তিদায়ক রয়েছে, আশা করছি ফেরার যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হবে। আমরা চাই না, সড়কে কোনো প্রাণহানি ঘটুক।
জাতীয় ঈদগাহসহ রাজধানীতে পাঁচ শতাধিক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, রাজধানী ছাড়াও শোলাকিয়া, দিনাজপুরসহ সবকটি বড় ঈদ জামাতে নিরাপত্তা কাভার করা হবে।
সর্বোচ্চ সক্ষমতা দিয়ে ঈদ উৎসবটি নিরাপদ করার ব্যবস্থা করা হবে। দেশজুড়ে র্যাবের সর্বোচ্চ উপস্থিতি প্রদর্শনের চেষ্টা করা হচ্ছে। ঈদে ফাঁকা শহরগুলোতে যে কোনো অপরাধ রুখতে আমাদের আলাদা পরিকল্পনা রয়েছে।
অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে ঈদ উদযাপন নিরাপদ করতে পূর্ণ প্রস্তুতির কথা জানান র্যাব ডিজি।
এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ