আজকের শিরোনাম :

টাঙ্গাইলে ধান পোড়ানোর ঘটনা পরিকল্পিত : খাদ্যমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ মে ২০১৯, ১৪:৩৫ | আপডেট : ১৫ মে ২০১৯, ১৪:৩৯

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, টাঙ্গাইলে ধান পোড়ানোর ঘটনা একটি পরিকল্পিত বিষয়। কারণ একজন পিতা তার সন্তান বিকলাঙ্গ হোক না কেন, গলাটিপে মেরে ফেলতে পারবে না। ধানের দাম ২০০ টাকা হলেও কৃষক পোড়াবে না। মনে ক্ষোভ হবে।

আজ বুধবার সকালে সিরাজগঞ্জে খাদ্য বিভাগ আয়োজিত অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ ২০১৯-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ঘটনা এমনই পরিকল্পিত যে, প্রথম আলো পত্রিকার রিপোর্টাররা সকালেই চলে গেল। টিভি সকাল বেলাই চলে গেল। তার পর ধানে আগুন দেওয়া হলো। এটি সরকারকে পর্যুদস্ত করার একটা পরিকল্পনা।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা শপথ নিতে চাই, প্রকৃত প্রান্তিক কৃষক ছাড়া ধান একটি কেজিও বাইরে কিনতে দেব না। কারণ সরকারকে পর্যুদস্ত করার জন্য নানাভাবে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। আমিও একজন কৃষক। ধান বিক্রি করি। আমারও কষ্ট আছে। আমি এবং কৃষিমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। কারণ প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে ধান না কেনা পর্যন্ত আমরা কিন্তু কৃষকদের ঠিকমতো মূল্যায়ন করতে পারব না। কারণ, যে লক্ষ টন ধান কেনা তা এক্কেবারে কম বলে আমি মনে করি।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ১০ লাখ টন সিদ্ধ চাল, দেড় লাখ টন আতপ চাল কেনা সম্ভব। কিন্তু ধান এবং চাল যদি একই গোডাউনে রাখা যায়, তা হলে ধান ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়; চালও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কৃষকরা ধান নিয়ে আসার পর ১৪ শতাংশ ময়েশ্চার যেন না থাকে, তখন ওসি এলএসডিও মনে করে এ ধান নেওয়া যাবে না। যতই ঘোরানো যায়, ততই মজা পাওয়া যায়। তার ওপর লেবারদের একটি খবরদারি দিয়ে দেয় তোরা অত্যাচার করবি, যাতে কৃষকরা চলে যায়। এটা বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যেমন কৃষকদের নিয়ে ভাবতেন, তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারও কৃষকবান্ধব। তাই এসব অশুভ চক্রান্ত ও পাঁয়তারা কোনোদিনই সফল হবে না। 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ইফতেখার উদ্দিন শামীম, সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট আবু ইউসুফ সূর্য্য, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কে এম হোসেন আলী হাসান, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ মিল মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল মোতালেব, কাজীপুর উপজেলার চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী প্রমুখ। 

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ