টিকিটের জন্য স্মরণকালের সর্বোচ্চ ভিড় কমলাপুরে
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ জুন ২০১৮, ২২:১১
ঢাকা, ০৫ জুন, এবিনিউজ : আসন্ন উদুল ফিতরকে সামনে রেখেই গত ২জুন থেকেই রাজধানীর কমলাপুরে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।তবে পঞ্চম দিনের মত ১৪ জুনের টিকিট বিক্রি হচ্ছে আজ মঙ্গলবারে। রাজধানীমুখী মানুষগুলো তাদের প্রিয় জনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এবং নিশ্চিতে গ্রামে পৌঁছানোর জন্য সকাল থেকেই স্টেশনে টিকিট কাউন্টারে দাঁড়িছে প্রতিযোগিতার সাড়িতে। এবং প্রতিবারের ন্যায় এবার ঘরমুখো মানুষের চিত্রটা একটু ভিন্ন দেখা গেছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ স্টেশনে সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
জানা যায়, কয়েকদিনের তুলনায় এদিন কয়েকগুণ হারে যাত্রী বেড়েছে। দুপুর গড়িয়ে বিকেলেও কমেনি যাত্রীদের চাপ। গভীর রাত থেকে শুরু করে ভোরের দিকেও কাউন্টারের লাইন ধরে দাঁড়িয়েছেন টিকিট প্রত্যাশীরা।ঘরমুখো মানুষের ভিড় সামলাতে গিয়ে অনেকটাই হিমসিম খেতে হচ্ছে স্টেশন সংশ্লিষ্টদের।
স্টেশন সূত্রে জানা যায়, সকাল ৮টা থেকে মোট ২৬ টি কাউন্টারে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত কাউন্টার আছে দুইটি। এছাড়া আগামীকাল ৬ জুন দেওয়া হবে ১৫ জুনের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট। একজন যাত্রী একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন।
মঙ্গলবার কমলাপুর রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল ৮টা থেকে স্টেশনের ২৬টি কাউন্টার থেকে একযোগে ১৪ জুনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। গভীর রাত থেকে কাউন্টারে দাঁড়িয়ে যখন টিকিট নামক সোনার ‘হরিণ’টি হাতে পাচ্ছেন, তখন অনেকেই আনন্দে চিৎকার করে উঠছেন। আবার দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে বিরক্তিও প্রকাশ করছেন কেউ কেউ।
স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, আমরা মতে স্টেশনে এবারেই স্মরণকালের সর্বোচ্চ ভীড় দেখা যাচ্ছে যা এর আগে কখনো লক্ষ্য করা যায়নি। কিন্তু এতো লোককে টিকেট দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে ১ টি টিকেট থাকলেও তা কাউন্টার থেকে দিয়ে দেওয়া হবে। তিনি জানান, আগামী ১৪ তারিখের সর্বমোট ২৭ হাজার ৪’শত ৬১টি টিকেট দেওয়া হবে। এদিকে টিকেট কালোবাজারি ঠেকাতে ডিজিএফ আই, এন এস আই, রেলওয়ে পুলিশ, র্যাব ও আর্ম ব্যাটেলিয়ন কড়া নজর রাখছে। তবে ৬৫ শতাংশ টিকেট লাইনে এবং বাকি টিকেট বরাদ্দ করা হয়েছে রেলওয়ে কর্মচারি, সরকারি কর্মচারি ও ভিআইপিদের জন্য। স্পেশাল ট্রেনের পাশাপাশি ঢাকা থেকে ১৩২টি নিয়মিত ট্রেন প্রতিদিন যাতায়াত করবে।। স্টেশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ঈদে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামাল দিতে ৯ জোড়া স্পেশাল ট্রেন সংযুক্ত করা হবে। তবে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ও সোনার বাংলা ট্রেনে কোনো আসন বিহীন টিকিট ইস্যু করা হবে না। অন্যান্য ট্রেনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র যাত্রীদের অনুরোধে যাত্রার দিন আসন বিহীন টিকিট ইস্যু করা হবে। স্টেশন ম্যানেজার সূত্রে জানা যায়, ঈদফেরত যাত্রীদের ভ্রমণের জন্য অগ্রিম টিকিট রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সকাল ৮টা থেকে বিক্রি করা হবে। এসব স্টেশনে ১০ জুন পাওয়া যাবে ১৯ জুনের টিকিট। এরপর ১১ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে ২০ থেকে ২৪ জুনের টিকিট পাওয়া যাবে। এবিএন/মমিন/জসিম
স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, আমরা মতে স্টেশনে এবারেই স্মরণকালের সর্বোচ্চ ভীড় দেখা যাচ্ছে যা এর আগে কখনো লক্ষ্য করা যায়নি। কিন্তু এতো লোককে টিকেট দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে ১ টি টিকেট থাকলেও তা কাউন্টার থেকে দিয়ে দেওয়া হবে। তিনি জানান, আগামী ১৪ তারিখের সর্বমোট ২৭ হাজার ৪’শত ৬১টি টিকেট দেওয়া হবে। এদিকে টিকেট কালোবাজারি ঠেকাতে ডিজিএফ আই, এন এস আই, রেলওয়ে পুলিশ, র্যাব ও আর্ম ব্যাটেলিয়ন কড়া নজর রাখছে। তবে ৬৫ শতাংশ টিকেট লাইনে এবং বাকি টিকেট বরাদ্দ করা হয়েছে রেলওয়ে কর্মচারি, সরকারি কর্মচারি ও ভিআইপিদের জন্য। স্পেশাল ট্রেনের পাশাপাশি ঢাকা থেকে ১৩২টি নিয়মিত ট্রেন প্রতিদিন যাতায়াত করবে।। স্টেশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ঈদে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামাল দিতে ৯ জোড়া স্পেশাল ট্রেন সংযুক্ত করা হবে। তবে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ও সোনার বাংলা ট্রেনে কোনো আসন বিহীন টিকিট ইস্যু করা হবে না। অন্যান্য ট্রেনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র যাত্রীদের অনুরোধে যাত্রার দিন আসন বিহীন টিকিট ইস্যু করা হবে। স্টেশন ম্যানেজার সূত্রে জানা যায়, ঈদফেরত যাত্রীদের ভ্রমণের জন্য অগ্রিম টিকিট রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সকাল ৮টা থেকে বিক্রি করা হবে। এসব স্টেশনে ১০ জুন পাওয়া যাবে ১৯ জুনের টিকিট। এরপর ১১ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে ২০ থেকে ২৪ জুনের টিকিট পাওয়া যাবে। এবিএন/মমিন/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ