আজকের শিরোনাম :

বেঁচে আছেন মাহফুজ উল্লাহ, তবে অবস্থা সংকটাপন্ন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০১৯, ২০:৪২ | আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০১৯, ২০:৫৩

বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে আজ সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয়।  তবে এ সংবাদকে গুজব বলে দাবি করেছেন তার মেয়ে নুসরাত হুমায়রা।  রবিবার বিকেলে তিনি জানান,‌ ‌‌‘বাবা বেঁচে আছেন।  তবে তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন   আমি বাবার পাশেই আমি বসে আছি।”

এর আগে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে মাহফুজ উল্লাহর মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয়। এমনকি অনেক জায়গা থেকে তার মৃত্যুর শোক বার্তাও গণমাধ্যমে আসতে থাকে। এরই প্রক্ষিতে বাবা এখনও বেঁচে থাকার কথা জানালেন সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর মেয়ে। একই কথা বলেছেন মাহফুজ উল্লাহর ভগ্নিপতি তালুকদার মহিবুল হোসেনও।

তালুকদার মহিবুল হোসেন বলেন, গত কয়েকদিন তাকে লাইফসাপোর্টে রাখা হয়। আজ রবিবার দুপুরে লাইফ সাপোর্ট খুলে দেয়া হয় এবং বলা হয়, তোমরা তাকে দেশে নিয়ে যেতে পারো। তার সঙ্গে মেয়ে নুসরাত হুমায়রা মেঘলা আছে।

তিনি জানান, মেঘলা বলেছেন, উনার (মাহফুজ উল্লাহর) লাইফ সাপোর্ট খুলে দেয়া হয়েছে। তবে এখনো বেঁচে আছেন। আজ রাতেই হয়তো উনার শেষ রাত হতে পারে।

এর আগে, মেঘলা নিজের ফেসবুকে মাহফুজ উল্লাহর সবশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে একটি পোস্ট দেন। যেখানে তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় চ্যানেলগুলোতে দেখানো হচ্ছে যে, মাহফুজ উল্লাহ মারা গেছেন। আমি হাসপাতালে উনার সঙ্গে আছি। উনি এখনো বেঁচে আছেন। তবে চিকিৎসকরা তার সব ধরণের চিকিৎসা বন্ধ করে দিয়েছেন যাতে তিনি শান্তিতে চলে যেতে পারেন।

গত ২ এপ্রিল নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হলে ৬৯ বছর বয়সী মাহফুজ উল্লাহকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখা‌নে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ১১ এপ্রিল অসুস্থ মাহফুজ উল্লাহকে ব্যাংককে নেয়া হয়। সেখানকার বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তিনি হৃদরোগের পাশাপাশি কিডনি ও উচ্চ রক্তচাপজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন দেশের প্রথিতযশা এই সাংবাদিক।  

গত ১০ এপ্রিল গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে থাইল্যান্ডে নেওয়া হয়। সেখানে তার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বড় মেয়ে ডা. মেঘলা ও জামাতা রয়েছেন। এর আগে ২ এপ্রিল ধানমন্ডির গ্রীন রোডে মাহফুজ উল্লাহ তার নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় মাহফুজ উল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তিনি দীর্ঘদিন হৃদরোগ, কিডনি ও উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন।  

সূত্র: সময় টিভি

 এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর

এই বিভাগের আরো সংবাদ