আজকের শিরোনাম :

নুসরাত হত্যায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের শোক স্বাক্ষর কর্মসূচি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০১৯, ১৬:৫৪

গায়ে আগুন ধরিয়ে ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির নির্মম মৃত্যুতে শোক স্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটি। আজ রবিবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শোক বইতে রাফি হত্যার প্রতিবাদে মন্তব্য করছেন, তাদের দাবি জানাচ্ছেন।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম রেজা বলেন, আজ (রোববার) শুরু করলাম। স্বাক্ষর কর্মসূচি সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে।  এরপর আমরা জেলা পর্যায়ে এ কর্মসূচি পালন করব। মূলত মানুষকে এ ধরনের ঘটনার বিষয়ে সতর্ক করতে আমাদের এ কর্মসূচি।

নুসরাতের মতো আর কারো এমন নির্মম হত্যা মানুষ চায় না।  আর নুসরাতের হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাওয়ার দাবিই উঠে এসেছে শোক স্বাক্ষর খাতার পাতায় পাতায়।
মোহাম্মদ বারী নামে একজন খাতায় লিখেছেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মুক্তি চাই। কন্যা সাহসিকা নুসরাত, আমাদের প্রণতি তোমাকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জোবায়ের আলম লিখেছেন, আসামির ফাঁসি চাই আর ওর লাশও আগুনে পোড়ানো হোক জনসম্মুখে।
ইয়াসমিন সুলতানা ইলা লিখেছেন, নারী নির্যাতন থেকে মুক্তি না পেলে দেশের উন্নতি হবে কীভাবে?

ইয়াসমিন সুলতানা ইলা লিখেছেন, ‘নারী নির্যাতন থেকে মুক্তি না পেলে দেশের উন্নতি হবে কীভাবে?’

সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা নামের একটি পত্রিকার সাংবাদিক এজাজ রহমান লিখেছেন, ‘শিশু-নারী নির্যাতন ও মাদক-সন্ত্রাস প্রতিরোধ গড়ে তুলি ঘরে ঘরে।’

গত ৬ এপ্রিল (শনিবার) সকালে রাফি আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যান।  এ সময় মাদরাসার এক ছাত্রী তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে- এমন সংবাদ দিলে তিনি ওই বিল্ডিংয়ের চার তলায় যান।  সেখানে মুখোশ পরা ৪-৫ জন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়।  রাফি অস্বীকৃতি জানালে তারা গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।

পরে দগ্ধ নুসরাত জাহান রাফিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পাঁচদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১০ এপ্রিল মারা যান নুসরাত।

এর আগে গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহান রাফিকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। ওই ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে। এ ঘটনায় রাফির মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন।

এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর

এই বিভাগের আরো সংবাদ