আজকের শিরোনাম :

বর্ষবরণে টিএসসি ও চারুকলায় মানুষের ঢল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০১৯, ১০:৪৬

বাংলা নববর্ষ-১৪২৬ বরণ করে নিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে। নানা বয়সী মানুষের সরব উপস্থিতি ক্যাম্পাসকে করে তুলেছে প্রাণবন্ত।

সরেজমিন দেখা যায়, রবিবার ভোর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজারো মানুষ নানা রঙের পোশাক পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা, টিএসসি এলাকায় ভিড় জমাতে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটি জনস্রোতে রূপ নেয়।

নগরবাসীকে নববর্ষের অনুষ্ঠান নির্বিঘ্নে পালনের সুযোগ করে দিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি রয়েছে।

রাজধানীর নীলক্ষেত, পলাশী, হাইকোর্ট, চানখারপুলসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রবেশপথে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী কাউকে যানবাহন নিয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।

জীর্ণ-পুরাতনকে পেছনে ফেলে সম্ভাবনার নতুন বছরে প্রবেশ করেছে বাঙালি জাতি। পয়লা বৈশাখে বর্ণিল উৎসবে মেতেছে দেশ। চৈত্রসংক্রান্তির মাধ্যমে ১৪২৫ সনকে বিদায় জানিয়ে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হয়েছে নতুন বছর ১৪২৬।

১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি সন নামে, পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলাবর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে থাকলেও এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে।

পাকিস্তান শাসনামলে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের। আর ষাটের দশকের শেষে তা বিশেষ মাত্রা পায় রমনা বটমূলে ছায়ানটের আয়োজনের মাধ্যমে।

দেশ স্বাধীনের পর বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীকে পরিণত হয় বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। উৎসবের পাশাপাশি স্বৈরাচার-অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদও এসেছে পয়লা বৈশাখের আয়োজনে। ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে বের হয় প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কো এ শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মর্যাদা দেয়।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ