আজকের শিরোনাম :

বাংলাদেশ-ভুটান পণ্যের শুল্ক ও কোটা মুক্ত প্রবেশাধিকার নিয়ে কাজ করতে ঐকমত্য

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০১৯, ১৫:৫৪

বাংলাদেশ ও ভুটান পারস্পরিক স্বার্থে তাদের দেশীয় বাজারে উভয় দেশের বেশ কিছু পণ্যের শুল্ক ও কোটা মুক্ত প্রবেশাধিকার নিয়ে কাজ করার ব্যাপারে ঐকমত্য প্রকাশ করেছে।

‘বাংলাদেশ এবং ভুটানের মধ্যে আজ শনিবার আনুষ্ঠানিক আলোচনায় ভুটান বাংলাদেশের বাজারে দেশটির ১৬টি পণ্যের শুল্ক এবং কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার চেয়েছে আর বাংলাদেশ চেয়েছে তাদের বাজারে ১০টি বাংলাদেশি পণ্যের শুল্ক ও কোটা মুক্ত প্রবেশাধিকার।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক এ কথা বলেন। প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে এবং সফররত ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং ভুটানের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুটানের ১৬টি পণ্যের বাংলাদেশের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারের বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।

শহীদুল হক বলেন, আজকের দ্বিপাক্ষিক আলোচনাটি খুবই ইতিবাচক হয়েছে এবং আলোচ্য বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ায় এগুলো কার্যকর হবে বলেও আশা করা যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভুটান সফরের সময়ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল বলে পররাষ্ট্র সচিব উল্লেখ করেন।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেছেন, বাংলাদেশের ১০টি পণ্যের কোটা ও শুল্ক মুক্ত প্রবেশাধিকারের বিষয়টি নিয়ে শিগগিরই আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মনে করি, দুদেশই এটি কার্যকরের বিষয়ে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে এখন এটি বাস্তবায়ন পর্যায়ে কাজ করতে হবে।’

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ এবং স্বাস্থ্য খাতের বিষয়ে আলোচনায় প্রাধান্য দেওয়া হয়।

ট্রানজিটের বিষয়ে তিনি বলেন, এই অঞ্চলে বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল (বিবিআইএন) সড়ক এবং রেল যোগাযোগের বিষয়টি একটি বড় উদ্যোগ।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘যদিও সকল দেশই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে তথাপি ভুটানের সংসদে এটি অনুসমর্থিত হয়নি। তবে, ভুটানের নতুন সরকার বলেছে এই উদ্যোগ সংক্রান্ত বিলটি তাদের সিনেটের উচ্চকক্ষে আলোচনার জন্য পুনরুত্থাপিত হবে এবং তারা এটি পাশের বিষয়ে আশাবাদী।’ 

ভুটানের সংসদে বিলটি অনুমোদিত হলে আলোচ্য চারটি দেশের মধ্যে যোগাযোগ আর শক্তিশালী হবে, বলে তিনি উল্লেখ করেন।
খবর বাসস

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ