আজকের শিরোনাম :

নদীর স্বাভাবিক গতি যেন অব্যাহত থাকে : প্রধানমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০১৯, ১৫:১৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা আমাদের প্রয়োজনে অনেক নদীতে ব্রিজ তৈরি করি। আমাদের প্রবণতা থাকে নদীশাসন করার। ব্রিজটা যেন ছোট হয়, সে জন্য নদীকে ছোট করা হয়। আমি এ মতের সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে ভিন্নমত পোষণ করছি। নদীর স্বাভাবিক গতি যেন অব্যাহত থাকে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পানি দিবস ২০১৯ উদযাপনের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি, পানির অপর নাম জীবন। পৃথিবীর সব সভ্যতা গড়ে উঠেছে নদীর তীরে। কিন্তু এই পানি অনেক সময় মানুষের জীবন সর্বনাশের দিকে নিয়ে যায়। তাই আমাদের জন্য যেন পানি আর্শীবাদ হয়ে আসে, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি বলেন, চৈত্র-বৈশাখ মাস এলেই নদীর পানি শুকিয়ে যায়। আমাদের এমন পদক্ষেপ নিতে হবে যেন শুকনো মৌসুমেও নদীতে পর্যাপ্ত পানি থাকে। আমাদের হাওড়-বাঁওড়-বিলগুলো জলাধার হিসেবে কাজ করে। এগুলোতে সারাবছর পানি থাকে। সেখান থেকে পানি নদীতে নেমে যায়। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, অধিক ফসলের ফলনসহ বিভিন্ন ধরনের চিন্তা থেকে বাধ দিয়ে এমন অবস্থা তৈরি করা হয় যে জলাধারগুলো নষ্ট হয়ে যায়। ফলে বর্ষায় যখন পানি আসে, পানি নামার জায়গা পায় না। ভাঙন বেশি হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, বর্ষাকালে যখন বেশি পানি আসে, সেই পানিকে ধারণ করার জন্য বাফার জোন রাখতে হবে। সেভাবে পরিকল্পনা নেওয়া উচিত। আমরা নদীকে বেঁধে ফেলি, কিন্তু নদী বাঁধ মানে না। সুনামি, সিডরের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমরা দেখেছি, পানির তোড়ে সবকিছু ভেসে যায়। তাই পানিকে বেঁধে না রেখে এর চলাচলের সুব্যবস্থা করে দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নদী, খাল, বিল, পুকুর, ডোবা খনন করে পানি ধরে রাখতে হবে। শুস্ক মৌসুমে যেন আমরা এই পানি ব্যবহার করতে পারি। শুধু ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভর করলে চলবে না। বৃষ্টি ও বন্যার পানি সংরক্ষণ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে পানির জন্য হাহাকার চলে। সুপেয় পানির খুব অভাব। সেসব দেশে আমরা পানি বিক্রি করতে পারি।

তিনি বলেন, এক লিটার পানি শোধন করতে অনেক টাকা খরচ হয়। আর আমরা সে পানি ঘণ্টার পর ঘণ্টা কল ছেড়ে, গায়ে সাবান মাখাই, ব্রাশ করি আর দাঁড়ি সেভ চলে। এ জন্য মগ ব্যবহার করতে পারেন। আমি কিন্তু গোসলের সময় বালতি মগ ব্যবহার করি। সে কারণে সবাইকে বলব পানি বিদ্যুৎ যেন হিসাব করে সবাই ব্যবহার করেন। তা হলে বিলও কম উঠবে। আপনাদের টাকা সাশ্রয় হবে।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে শতবর্ষের বদ্বীপ সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ডেল্টা প্ল্যানের ওপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

পানি দিবসের এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেন, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম ও মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ