প্রশ্নফাঁস বা গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা : শিক্ষামন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ এপ্রিল ২০১৯, ১২:১১ | আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:০৭
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অত্যন্ত সক্রিয়, তারা তীক্ষ্ণ নজরদারি করছেন, যেমনটা এসএসসিতে করেছিলেন। কেউ যদি গুজব ছড়ানো কিংবা প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ সোমবার সকালে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু উপলক্ষে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি এসএসসি পরীক্ষার মতোই এইচএসসি পরীক্ষাও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। সবার সহযোগিতায় প্রশ্ন ফাঁসের কোনো ঘটনা ছাড়াই আমরা পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করতে পারব। এ বিষয়ে শিক্ষক, পরীক্ষার্থী, অভিভাবক এবং গণমাধ্যমসহ সবার সহযোগিতা চাই।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা বাদ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। এটি প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে। আমরা শিক্ষানীতি অবশ্যই বাস্তবায়ন করব। তবে একবারে তো করা সম্ভব হবে না, পর্যায়ক্রমে করা হবে।’
এসএসসি পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্র ছাপা নিয়ে যে সমস্যা হয়েছিল সে প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘একটি জায়গায় ছাপা কিছু অস্পষ্ট ছিল, একটি প্রশ্নপত্রে দুই পৃষ্ঠায় দুই রকম প্রশ্ন ছাপা হয়েছিল, সেই পরীক্ষা বাতিল করে আবার নেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি এবার কোনো সমস্যা হবে না।’
কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘১ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। আমি আশা করছি প্রতিটি জেলা, উপজেলার প্রশাসন বিষয়টি মনিটরিং করবে। কোচিংগুলো সত্যিই বন্ধ থাকছে কিনা বিষয়টি তারা নিশ্চিত করবে।’
সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দফতর সংস্থা ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আজ সকাল ১০টা থেকে ১০টি শিক্ষা বোর্ডে একযোগে ২০১৯ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এবার দেশের নয় হাজার ৮১টি প্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০৫ শিক্ষার্থী পরীক্ষার আসনে বসেছে। এর মধ্যে ছাত্র ছয় লাখ ৬৪ হাজার ৪৯৬ জন এবং ছাত্রী ছয় লাখ ৮৭ হাজার নয়জন।
আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এইচএসসি পরীক্ষায় মোট অংশ নিচ্ছে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৪৭ জন। এর মধ্যে ছাত্র পাঁচ লাখ ৭৩ হাজার ৮১২ জন এবং ছাত্রী পাঁচ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩৫ জন।
এই পরীক্ষায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় এক লাখ ২৪ হাজার ২৬৪ জন এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন আলিম পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৮৮ হাজার ৪৫১ জন।
এবার দেশের বাইরের আটটি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী রয়েছে ২৭৫ জন। এ ছাড়া শারীরিক প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য বাড়তি ২০ মিনিট সময় বরাদ্দ করা হয়েছে এবং অটিজমসহ বিশেষ বিবেচনার দাবি রাখে, এমন শিক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট বাড়তি সময় দেওয়া যাবে।
এবারও পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হয়েছে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১১ মে। এর পর ১২ থেকে ২১ মের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ