আজকের শিরোনাম :

শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে একমাসের জন্য শিক্ষকদের কর্মসূচি স্থগিত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০১৯, ২০:৪৯

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ননএমপিও শিক্ষকদের আন্দোলন এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। তবে এ সময়ের মধ্যে তাঁরা প্রধানন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার চেষ্টা করবেন। আজ রবিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কর্মসূচিতে গিয়ে এ ঘোষণা দেওয়ার পর শিক্ষকরা এক মাসের জন্য তাঁদের আন্দোলন স্থগিত করেন।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে জানান, আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে ‘যোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো’ এমপিওভুক্তির আওতায় নিয়ে আসার জন্য যাচাই-বাছাই শুরু করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের কষ্টের বিষয়টা জানি। এমপিওভুক্তি ছাড়া আপনারা কীভাবে জীবন যাপন করেন, সে খবরও আমার কাছে রয়েছে। নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে।’

এদিকে, এমপিওভুক্তির দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পঞ্চম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচির পালন করছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সেখানে আসেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি। এ সময় শিক্ষক-কর্মচারীরা স্লোগান দিয়ে মন্ত্রীকে স্বাগত জানান। তার সঙ্গে ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন।

এর আগে শনিবার (২৩ মার্চ) তারা জানিয়েছিলেন, নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষামন্ত্রী যদি সুনির্দিষ্ট আশ্বাস দেন, তা হলে আন্দোলন ছেড়ে ক্লাসে ফিরবেন শিক্ষকরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষক নেতারা জানান, নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিও’র দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের উদ্যোগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের জন্য কদম ফোয়ারা থেকে প্রেস ক্লাবের গেট পর্যন্ত রোদ, ধুলোবালি, মশার কামড় উপেক্ষা করে খোলা আকাশের নিচে ৩০তম বার দিবারাত্রি অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। সারাদেশের সকল বেসরকারি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ১২-১৫ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী অংশ নিয়েছেন এ আন্দোলনে।

তাদের এই টানা অবস্থানে ৫ম দিনে ১৫ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আন্দোলনের ২য় দিনে বরগুনা জেলার তালতলি উপজেলার শিক্ষক শৈলেন চন্দ্র মজুমদার (৫০) স্ট্রোক করে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সাল থেকে নন-এমপিও শিক্ষকরা একই দাবিতে ৩০তম আন্দোলন করছেন। দাবির মুখে ২০১০ সালে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কিছু শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হলেও এ থেকে বাদ পড়ে যায় পাঁচ হাজার ২৪২টি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী।

 এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর

এই বিভাগের আরো সংবাদ