আজকের শিরোনাম :

আন্দোলনরত শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস শিক্ষামন্ত্রীর

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০১৯, ১৭:২৪ | আপডেট : ২৪ মার্চ ২০১৯, ১৭:৪৮

আগামী দেড় মাসের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি। তিনি বলেন, এক থেকে দেড় মসের মধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্তির আওতায় আনতে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হবে। আজ রবিবার (২৪ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা শিক্ষকদের মাঝে উপস্থিত হয়ে বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি। এছাড়া্ও শিক্ষকদের কাছে দুই মাস সময় চেয়ে শিক্ষামন্ত্রী আগামী বাজেটে এমপিওভুক্তির জন্য বরাদ্দ রাখার আশ্বাস দেন।

এদিকে, এমপিওভুক্তির দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পঞ্চম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচির পালন করছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সেখানে আসেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি। এ সময় শিক্ষক-কর্মচারীরা স্লোগান দিয়ে মন্ত্রীকে স্বাগত জানান। তার সঙ্গে ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন।

এর আগে শনিবার (২৩ মার্চ) তারা জানিয়েছিলেন, নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষামন্ত্রী যদি সুনির্দিষ্ট আশ্বাস দেন, তা হলে আন্দোলন ছেড়ে ক্লাসে ফিরবেন শিক্ষকরা।

আন্দোলনকারী শিক্ষক নেতারা জানান, নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিও’র দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের উদ্যোগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের জন্য কদম ফোয়ারা থেকে প্রেস ক্লাবের গেট পর্যন্ত রোদ, ধুলোবালি, মশার কামড় উপেক্ষা করে খোলা আকাশের নিচে ৩০তম বার দিবারাত্রি অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। সারাদেশের সকল বেসরকারি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ১২-১৫ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী অংশ নিয়েছেন এ আন্দোলনে।

তাদের এই টানা অবস্থানে ৫ম দিনে ১৫ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আন্দোলনের ২য় দিনে বরগুনা জেলার তালতলি উপজেলার শিক্ষক শৈলেন চন্দ্র মজুমদার (৫০) স্ট্রোক করে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।

প্রসঙ্গত, ২০০৬ সাল থেকে নন-এমপিও শিক্ষকরা একই দাবিতে ৩০তম আন্দোলন করছেন। দাবির মুখে ২০১০ সালে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কিছু শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হলেও এ থেকে বাদ পড়ে যায় পাঁচ হাজার ২৪২টি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী।

 এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর

এই বিভাগের আরো সংবাদ