আজকের শিরোনাম :

কারিগরি ত্রুটি : আজ বসছে না পদ্মা সেতুর নবম স্প্যান

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০১৯, ১২:৫০ | আপডেট : ২১ মার্চ ২০১৯, ১৩:৪৬

পদ্মা সেতুর নবম স্প্যানটি বসানোর কথা ছিল আজ বৃহস্পতিবার। কিন্তু কারিগরি ত্রুটির কারণে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের ৩৫ ও ৩৪ নম্বর খুঁটিতে এই স্প্যানটি বসানো হচ্ছে না।

সেতু বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কিছু কারিগরি ত্রুটির কারণে পদ্মা বহুমুখী সেতুর নবম স্প্যান আজ বসানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে আগামীকাল শুক্রবার সকালে স্প্যানটি বসানো হবে। সেতুর জাজিরাপ্রান্তে ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পিলারের ওপর এটি বসানো হলে দেশের সবচয়ে বড় এই সেতুর ১২০০ মিটার দৃশ্যমান হবে।

প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘তিয়ান-ই ক্রেনে করে ৬ ডি স্প্যান ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পিলারের কাছে গতকাল (বুধবার) আনা হয়। স্প্যানটি পিলারে উঠাতে হলে ক্রেনটিকে ভালো করে নোঙর করে নিতে হয়। এজন্য ক্রেনটি আট দিক থেকে নোঙর করা হয়। এরপরও নদী এলাকায় যেকোনও জলযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকে। গতকাল রাতে এ এলাকায় কিছুটা ঝড় বৃষ্টির কারণে ক্রেনের একটি নোঙর ছিঁড়ে যায়, যা আজ সকালে আমাদের নজরে আছে। এখন পুনরায় নোঙর ঠিক করে ক্রেনটি ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পিলারের বরাবর পজিশন করতে বিকাল ৩টার মতো বেজে যাবে। যদি আবহাওয়া ভালো থাকে তাহলে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পিলারে স্প্যান ( ৬ ডি) উঠানো হবে।

স্প্যানটি বসানো হলে সেতুর জাজিরাপ্রান্তে দৃশ্যমান হবে ১২০০ মিটার ও মাওয়াপ্রান্তে দৃশ্যমান হবে ১৫০ মিটার। সব মিলিয়ে সেতুর ১৩৫০ মিটার দৃশ্যমান হবে।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যানটিকে ভাসমান ক্রেনের সাহায্যে স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগে বুধবার সকালেই মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে জাজিরা আসে স্প্যানটি।

এর আগে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর প্রথম স্প্যান, ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারের ওপর দ্বিতীয় স্প্যান, ১১ মার্চ ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিলারের ওপর তৃতীয় স্প্যান, ১৩ মে ৪০ ও ৪১ নম্বর পিলারের ওপর চতুর্থ স্প্যান এবং গত ২৯ জুন ৪১ ও ৪২ নম্বর পিলারের ওপর পঞ্চম স্প্যান বসানো হয়েছে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ স্প্যান বসানোর পর ৯০০ মিটার দৃশ্যমান হয়। এরপর গতকাল বুধবার ৩৫ ও ৩৬ নম্বর পিলারের ওপর অষ্টম স্প্যান বসানোর পর জাজিরা প্রান্তে ১ হাজার ৫০ ও মাওয়া প্রান্তে ১৫০ মিলিয়ে মোট ১ হাজার ২০০ মিটার দৃশ্যমান হয়।

৪২টি পিলারের ওপর এমন ৪১টি স্প্যানের সাহায্যে পদ্মার বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাবে কয়েক গুণ। বাপ-দাদার ভিটেবাড়ি গেলেও পদ্মা সেতুর কাজের অগ্রগতি দেখে সন্তুষ্ট স্থানীয়রা।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ