আজকের শিরোনাম :

চকবাজারের আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭০

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০১৯, ২১:১৭

রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল থেকে ৬৭ জনের লাশ উদ্ধারের কথা জানায় ঢাকা জেলা প্রশাসন। পরবর্তিতে আরো একটি হাতকে ভিন্ন একটি লাশের খণ্ডিত অংশ বিবেচনায় নিয়ে মোট ৬৮টি লাশ থেকে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এর মধ্যে প্রথমে ডিএনএ টেস্ট ছাড়াই ৪৮ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অশনাক্ত ২০ লাশ মধ্যে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে ২ ধাপে ইতোমধ্যে ১৬ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
 
৪টির মধ্যে ২টি মরদেহ অশনাক্ত রয়েছে এবং বাকি ১টি হাত এবং আরেক ব্যাগে সংরক্ষিত অংশগুলো ইতোপূর্বে হস্তান্তর হয়েছে অন্যান্য লাশের খণ্ডিত অংশ। এর ফলে উদ্ধার লাশের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৬ জনে।

সিআইডি জানায়, লাশ ব্যাগগুলোর মধ্যে একটিতে শরীরের তিনটি অঙ্গের খণ্ডাংশ ছিল। অপরটিতে একটি বিচ্ছিন্ন হাত ছিল। ডিএনএ টেস্টের পর এগুলো আলাদা লাশ নয় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিআইডি’র অতিরিক্ত আইজিপি শেখ হিমায়েত হোসেন।
 
তিনি বলেন, সিআইডি মর্গে ৬৮টি লাশের ব্যাগ পায়। এর মধ্যে ৪৮টি লাশ পরিবারের সদস্যরা শনাক্ত করায় তা হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে ২০ ব্যাগ ও লাশ দাবিদার ২৩টি পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা নিয়ে পরীক্ষা শুরু করে।

পরীক্ষার প্রথম ধাপে গত ৬ মার্চ ১১ জনের লাশ শনাক্ত করা হয়। তারা হচ্ছেন ফাতেমাতুজ জোহরা, সালেহ আহমেদ, মো. ইব্রাহীম, মো. এনামুল হক, তানজীল হাসান, নাসরিন জাহান, মো. শাহীন আহমেদ, হাসান উল্লাহ, দুলাল কর্মকার, নুরুজ্জামান ও নুরুল হক।

দ্বিতীয় ধাপে মঙ্গলবার আরও পাঁচজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন- হাজী ইসমাইল, ফয়সাল সারোওয়ার, রেনুমা তাবাসসুম দোলা, মোস্তফা এবং জাফরের।

সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বাকি ৪টির মধ্যে একটিতে যে হাতের বিচ্ছিন্ন অংশ ছিল সেটা ছিল ২৩ নম্বর ব্যাগের লাশের যা আগেই হস্তান্তর করা হয়েছে।

এছাড়া, ৬৬ নম্বর ব্যাগটিতে তিনটি অঙ্গের খণ্ডাংশ ছিল, সেটা লাশের নম্বর ৮ ও ১৩ এর শরীরের খণ্ডিত অংশ। এ দু’টি লাশও ইতোমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সিআইডির কাছে বর্তমানে অশনাক্ত ২টি লাশও ৩টি পরিবারের ডিএনএ নমুনা রয়েছে। তবে দুই লাশের সাথে এ ৩ পরিবারের কারও ডিএনএ নমুনার মিল পাওয়া যায়নি। তাই লাশ দু’টি মর্গে থাকবে। কেউ লাশগুলোর দাবি করলে তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানান শেখ হিমায়েত হোসেন।

২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে ৬৬ জনের লাশ উদ্ধারের বিষটি ইতোমধ্যে নির্ধারিত হয়েছে। পরে আহত ও দগ্ধ অবস্থায় ঢামেকে চিকিৎসাধীন ৪ জন মারা যায়। এর ফলে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সর্বশেষ মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭০ জনে।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ